
ক্রীড়া ডেস্ক :
২০২৪ আসরে রাজস্থান রয়্যালস গিয়েছিল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত। সেখানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে গিয়ে হারতে হয়েছিল সাঞ্জু স্যামসনের দলকে। তার আগে ২০২৩ আসরে অবশ্য সেরা চারে থাকা হয়নি। ৫ম স্থানে থেকে আসর শেষ করেছিল দলটা। প্লে-অফ কিংবা শিরোপার আশেপাশে থাকলেও প্রথম আসরের পর থেকে আর কখনই আইপিএল শিরোপা ধরা হয়নি রাজস্থানের।
২০২৫ সালে এসেও খুব যে ভালো শুরু হয়েছে এমন দাবি করা যায় না। প্রথম ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ হার কপালে জুটেছে তাদের। সবশেষ হারটা এসেছে গতরাতের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। আহমেদাবাদে গুজরাটের ২১৭ রানের বিপরীতে রাজস্থান অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে।
আর এই অলআউটের সুবাদে দুই বছর আগের স্মৃতি ফেরালো রাজস্থানের ব্যাটাররা। বিগত ২ বছরে এবারই প্রথম ২০ ওভারের মাঝে ১০ উইকেট হারিয়েছে দলটি। সবশেষ তারা অলয়াউট হয়েছিল ২০২৩ সালের মে মাসের ১৪ তারিখে। সেদিনের ম্যাচে রাজস্থানের প্রতিপক্ষ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই ম্যাচে পরে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানে অলআউট হয় রাজস্থানের ব্যাটারা। এরপর মাঝে ৬৯৬ দিন পার হলেও আর কখনো অলআউট করা যায়নি তাদের। সেই বৃত্ত গতকাল ভেঙেছেন গুজরাট টাইটান্সের বোলাররা।
এবারের আসরটাই অবশ্য খুব একটা ভালো কাটছে না রাজস্থান রয়্যালসের জন্য। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে বিগত ৪ বছরে এবারই দলের টপঅর্ডারদের পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ। প্রথমদিকের ব্যাটারদের গড় পার্টনারশিপ এখন পর্যন্ত ৩০-এর নিচে (২৯.৪০)। যদিও ২০২২ ও ২০২৩ সালে রাজস্থানের টপঅর্ডারের ব্যাটারদের গড় পার্টনারশিপ ছিল ৩৭.৬০ এবং ৩৬.৬৯ রানের।
ব্যাটারদের এমন দুর্দশার মাঝে গতকাল রাজস্থানের জার্সিতে প্রথমবারের মতো ৮ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই গতকাল ক্রিজে ব্যাট করতে এসেছিলেন শিমরন হেটমায়ার। আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের বেহাল দশা হয়ত এখান থেকেই সহজে অনুমান করা যায়।