৬ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো পুলিশের গুলিতে নিহত সুজনের মরদেহ

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সুজন ইসলামের মরদেহ প্রায় ৬ মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা গ্রামের কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শাফায়াত আখতারসহ হাতীবান্ধা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। নিহত সুজন ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম ও রেজিয়া বেগমের সন্তান।

নিহত সুজন ইসলাম পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত ৫ আগস্ট সকালে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। ৬ আগস্ট ঢাকা থেকে তার মরদেহ নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এর ৫ মাস ২৩ দিন পর আদালতে নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

 

নিহত সুজন ইসলামের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের মরদেহ উত্তোলন করেছে আমার কোনো দুঃখ নেই। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদু-ন্নবী বলেন, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় নিহত হন সুজন। এরপর তার বাবার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।