নরসিংদী প্রতিনিধি:
পবিত্র কোরআন শরিফ মুখস্থ করে হাফেজ হতে একজন শিক্ষার্থীর অনেক সময় লাগে। কিন্তু নরসিংদীর মনোহরদীর আছমা আক্তার বৃষ্টি নামে ১৪ বছরের এক কিশোরী তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে মাত্র ৭০ দিনে উপজেলার উত্তর আলগী কুহিনূর কারিম মহিলা মাদরাসা থেকে হাফেজ সম্পন্ন করেছে।
আছমা আক্তার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার মেয়ে।
আজ শনিবার মাদরাসার পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন চরসুবুদ্ধি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাস ঠিকাদার সমিতির নরসিংদী শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা। দোয়া মাহফিলের আগে হাফেজ আছমাকে সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এসময় মাদরাসার মোহতামীম, শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, আছমা আক্তার বৃষ্টি রায়পুরার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। হঠাৎ তার বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পথে। খবর পেয়ে মাদরাসার মোহতামীম মাওলানা মিজানুর রহমান তাকে মনোহরদী এনে এই মাদরাসায় ভর্তি করান।
চার মাস আগে সাপ্তাহিক তালিমের বয়ানে হিফজের ফজিলত শুনে সে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। পরে তাকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রথম দিনেই সে ৫ পৃষ্ঠা কোরআন মুখস্থ করে ফেলে। এভাবে ৫ পাড়া মুখস্ত করার পর দৈনিক ১০ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করতে থাকে। ১৮ পাড়া শেষে দৈনিক ২০ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করতে থাকে।
এভাবে মাত্র ৭০ দিনে সে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে।
মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার মধ্যে ভিন্ন রকমের প্রতিভা দেখা যায়। সে অনেক মেধাবী। তার ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাত্র ৭০ দিনে হিফজ সম্পন্ন করেছে। তার জন্য দোয়া করি।’