প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন সহায়তা কর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

 

অন্যদিকে বেইত লাহিয়ায় আরও এক ফিলিস্তিনি বালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

একই হামলায় আরেক মহিলার পিঠে গুলি লেগেছে, অন্যদিকে রাফাহ শহরের পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় আরেকজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। রাফাহর উত্তর-পশ্চিমে আল-শাকুশ এলাকায় আল-কান পরিবারের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার থেকে ড্রোন বোমা নিক্ষেপের পর আরও আটজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবারের হামলাটি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের সাথে থাকা একটি ত্রাণ দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন।

দ্য প্যালেস্টানিয়ান জার্নালিস্ট প্রোটেকশান সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নিহত ওই সাংবাদিকরা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টার কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করছিলেন”।

একইসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে গাজা যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মূলত ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। এই পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য আলোচনা করা।