জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।’
রোববার সচিবালয়ে জার্মান দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফার্ডিনান্ড ফন ভেইহের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এক দশক পর শনিবার (১০ মে) রাজধানীতে বড় সমাবেশ করেছে জামায়াত। তার আগে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি পেয়েছে দলটি। জামায়াতকে সভা করার অনুমতির বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। রাজনৈতিক কারণে, দেখা যাক। এটা একটা পলিটিক্যাল ডিসিশন, এটি সময়ই আমাদের বলে দেবে।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনৈতিক দল, হাইকোর্টের ই…(পর্যবেক্ষণ) ছিল সংবিধানের সঙ্গে তাদের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক, গ্রহণযোগ্য না। তাদের তো অনেক জনসমর্থনও আছে। এ পরিস্থিতির আলোকে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘আমরা অনেক সময় রাজনীতিতে অনেক পদক্ষেপ নিই, এটি নিতে হয়।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংলাপের সুযোগ নেই কেন? আন্তর্জাতিক ই…(রাজনীতি) হলো যে পৃথিবীতে যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ হতে পারে। কিন্তু এ মুহূর্তে তো ওই রকম কোনো ই…(পরিস্থিতি) সৃষ্টি হয়নি যে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে। তারা আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে যখন তারা এক্সজস্টেড (ক্লান্ত) হয়ে যাবে তখন তারাই বলবে একটা কিছু করা দরকার। আমরা সাধারণত তাই করি।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের ভুলভ্রান্তি যে নেই তা নয়। কাজেই এ দলকে (আওয়ামী লীগ) ইচ্ছা করলেই ঠেলে দেওয়া কঠিন। বিদেশি কোনো শক্তি বা কেউ যদি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় এবং হস্তক্ষেপ করে আমি মনে করি না তারা সফল হতে পারবে। আমরা রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবিলা করতে পারব। দৌড়ঝাঁপ আছে, সেটি করতেই পারে। আমি বলেছি তোমরা (বিদেশি) সাজেশন দাও। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের আলোকে আগামী নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন। গ্রাসরুট লেভেলে আওয়ামী লীগের যথেষ্ট ভিত্তি আছে। ইচ্ছা করলেই আন্দোলন করে বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিএনপি আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বিদেশিরা তাদের যত রকম উসকানি দিক, সহযোগিতা করুক। তারা যেটা প্রত্যাশা করছে বিদেশিরাও একটা পর্যায়ে গিয়ে বুঝবে ওইভাবে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব না এবং আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, এমন কোনো পাড়া নেই যে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী নেই।’