গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের দালালমুক্ত করতে হবে

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও শেখ হাসিনা সরকারের চিহ্নিত দালালরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহাল তবিয়তে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দালালদের বহিষ্কার করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কালাকানুন বাতিল এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যমের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে মাহমুদুর রহমান এই হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়েছেন, তারা সাংবাদিক হতে পারেন না। আন্দোলনে গুলি চালাতে যারা টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের উপহাস করেছেন– তারা সাংবাদিক নন। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থামেনি। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হলেও তারা ফিরে আসার চেষ্টা করছে। গণমাধ্যমে হাসিনা সরকারের চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। বাংলাদেশের সব সেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদ দূর না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বারবার আহ্বান জানানোর পরও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। সে সুযোগে তারা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। আমি বলব, এটি এই সরকারের ব্যর্থতা।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আজ ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলছি; কিন্তু ফ্যাসিস্টদের ঝরানো রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। শেখ হাসিনার আমলে সাগর-রুনিসহ অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল সাংবাদিকদের অপসারণ করুন, নতুবা আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ প্রমুখ।