চট্টগ্রামে খালের জায়গা ও গাজীপুরে বনের জমি উদ্ধার

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রামে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বন বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ও কালিরছড়া খাল দখল করে গড়ে ওঠা ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গভীর জঙ্গলে অবৈধ দুই সিসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৫ আগস্টের পর দখল হওয়া বন বিভাগের ৬ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। অভিযানে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা লেক সিটি আবাসিক এলাকার কয়েক বাসিন্দা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযানে আকবর শাহ এলাকার হারবাতলী থেকে কালিরছড়া খালের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ দখলমুক্ত করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, কালিরছড়া খালটি সর্বনিম্ন ২৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ৬০ ফুট চওড়া ছিল। দখলের কারণে এখন খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। লেক সিটি আবাসিক এলাকার কয়েকটি প্লট মালিক খালের জায়গায় চলে গেছেন। সরকারি জমির নির্ধারিত সীমানা অনুসারে আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এর মধ্যে ডেইরি ফার্ম, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা দেয়াল, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩০টি পাকা স্থাপনা ছিল।

গতকাল বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন গভীর বনের ভেতরে গড়ে ওঠা দুটি অবৈধ সিসা কারখানা উচ্ছেদ করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) কিশোর কুমার দাস বলেন, এক্সক্যাভেটর দিয়ে কারখানার সব স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় জেলার অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলবে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গত ৫ আগস্টের পর দখল হওয়া জমি উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা বন বিভাগ। গতকাল সকাল থেকে উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা বোর্ড মিল ও পাশা গেট এলাকায় এ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে ছয় একর বনের জমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ।