চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব এবং ৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব, হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী এ চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ একটি পক্ষের হাতে চলে যায়। এরপর থেকে হাসপাতালের গাড়িচালক শাওন, দারোয়ান হাবিব, রিসিপশনিস্ট রবিউলের নেতৃত্বে হিসাব বিভাগে থাকা আনুমানিক ১ লাখ ২৭ হাজার ও ক্যাশ বিভাগে থাকা আনুমানিক ৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। যেহেতু ভল্টের চাবিও এখন পাওয়া যাচ্ছে না, তাই তারা চাবিও নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ২টি ল্যাপটপ, ৩টি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। পাশাপাশি হাসপাতালের সাবেক কর্মচারী হাসিনা আক্তারের নির্দেশে শাহাব উদ্দিন ও বোরহানের নেতৃত্বে শাওন, হাবিব ও রবিউল প্রশাসনিক দপ্তরের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় ফাইল সরিয়ে ফেলছে।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ৯ লাখ ৯৩ হাজার নগদ টাকার ক্ষতির বিষয়ে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া আসবাবপত্র ও আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অভিযুক্তদের ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে এবং চট্টগ্রামের অনেক অসহায় রোগীর আস্থার প্রতিষ্ঠান ডায়াবেটিক হাসপাতালটি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
চিঠির অনুলিপি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন ও খুলশী থানার ওসিকে দেওয়া হয়েছে।