নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করেনি, সেটি খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ভোটে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা এ দুটি সিটি নির্বাচনেই প্রার্থী হয়েছে। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি, মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
এ থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া উচিত যে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে না। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে, তাহলে আগামী নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করবে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ওপর হামলাকে অত্যন্ত নগণ্য একটি ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে ঘটনার কোনো প্রভাব ভোটে পড়েনি। তবে যে বা যারাই এটি করুক না কেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সেটি তদন্ত করছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসলামী আন্দোলনের ভোট বর্জনের ঘোষণা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও দুই সিটি নির্বাচনে তাদের সঙ্গে যারা প্রতিযোগিতা করেছে, তারা প্রায় তিনগুণ বেশি ভোট পেয়েছে। তাই তারা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছে যে, আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো পাত্তা নেই। তাই পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, দেশের সব মিডিয়া বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সেখানে মির্জা ফখরুল গৎবাঁধা কথা বলছেন। তিনি একই টেপ রেকর্ডার থেকে বের হতে পারছেন না। তাকে নতুন করে আরেকটি টেপ রেকর্ডার দিলে ভালো হয়।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়নি, তার শাস্তিও মওকুফ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নিজ এখতিয়ারে তাকে কারাগারের বাইরে অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আদালতের রায়ে দণ্ডিত আসামি। তবে তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।