ক্রীড়া ডেস্ক:
জাতীয় দল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচকদের ব্যাখ্যা-সংবলিত একটি ভিডিওবার্তা দেওয়া অনেকটা নিয়ম করে ফেলেছিল বিসিবি। এবার যেন সে ধারা থেকে একটু বেরিয়ে এসেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হলেও কোনো বিশ্লেষণ ছিল না। অথচ এবারের দলে একাধিক পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হতো।
বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে দলে নেওয়া; এনামুল হক বিজয় ও শেখ মেহেদির বাদ পড়ার কারণ জানার আগ্রহ রয়েছে সমর্থকদের মাঝে। সাকিব আল হাসান না থাকলে একজন বাঁহাতি স্পিনার নেওয়া হয় দলে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। হঠাৎ করেই তাঁর বাদ পড়া চোখে লাগে। টেস্টের সফল বোলার তাইজুলকে বাদ দিয়ে ১৫ জনের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে নাসুমকে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে যাঁর ভালো রেকর্ড নেই।
নাসুম ২০২২ সাল থেকে ১৫টি ওয়ানডে খেলে ১২ উইকেট নিয়েছেন। ২০২৩ সালে ১১ ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট শিকার তাঁর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেট শিকার তাঁর। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে ছিলেন উইকেটশূন্য। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও জোরালো পারফরম্যান্স করেছেন বলেও দাবি করতে পারবেন না। তাইজুলকে বাদ দিয়ে সেখানে নাসুমকে ওয়ানডে দলে নেওয়া বিতর্ক ছড়িয়েছে।
গতকাল এ নিয়ে নির্বাচকদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। অবশ্য শারজাহ স্টেডিয়ামে ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সে দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ পাবেন নির্বাচকরা। তবে শেখ মেহেদির বাদ পড়ার কারণ পারফরম্যান্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খরুচে ছিলেন তিনি। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম থাকায় চতুর্থ স্পিনার নেওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রয়োজন হলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দিয়েও বোলিং করাতে পারবেন অধিনায়ক। পেসার তানজিম হাসান সাকিবকেও না রাখার কারণ খোঁজা হচ্ছে। ১০টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলা নাহিদ রানাকে হয়তো আন্তর্জাতিক ওয়ানডের জন্য তৈরি করতে চাচ্ছেন। ঢাকা লিগে মোটামুটি ভালোও খেলেছেন তিনি। ১০টি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলে ২৬ উইকেট পাওয়া নাহিদের ইকোনমি ৫.৩৯।
ব্যাটিং লাইনআপ দেখা হলে লিটন কুমার দাস না থাকায় জাকের আলী অটোচয়েস হয়ে গেছেন। সৌম্যকে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞতার কারণে। শেষ সিরিজে ভালো করতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড সফরে রান পেয়েছেন। জাকির হাসানের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও কথা হচ্ছে। মূলত ভবিষ্যৎ ওয়ানডে দলের কথা মাথায় রেখে মিশেল একটি দল গড়ার চেষ্টা হলেও হতে পারে। সে কারণে তানজিম হাসান ও জাকিরের সঙ্গে সৌম্যকে অভিজ্ঞতার বিচারে রাখা। ব্যাটিং লাইনআপ দেখলে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য ছাড়া ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি কারোরই।