প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে শ্রীলঙ্কান যুবক

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামে ছুটে এসেছেন দিলশান মাদুরাঙ্গা নামের এক শ্রীলংকার যুবক।

গত বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি পটুয়াখালী আসেন এবং বৃহস্পতিবার ইসলামী শরিয়াহ মেনে পরিবারিক সম্মতিতে তাদের বিবাহ হয়।

বিষয়টি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জানাজানি হলে উপজেলার মানুষ এই নব দম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য সুবর্ণার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।

জানা যায়, গছানী গ্রামের নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা পাঁচ বছর আগে জর্ডানে যান কাজের সন্ধানে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ পান তিনি। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের। পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।

দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।

১ মাস আগে গ্রামে ফিরে সুবর্ণা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান দিলশান ইসলাম।

শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, আমরা দুইজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।

সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।

এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমঘটিত কারণে দশমিনায় এসেছেন। কিন্তু তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানি না।