ডেস্ক রিপোর্ট:
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাই সিটিতে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় এয়ার শো (বিমান প্রদর্শনী)। এই প্রদর্শনীতে ‘স্টিলথ যুদ্ধবিমান’ ও আক্রমণাত্মক ড্রোন ‘এসএস-ইউএভি’ উন্মোচন করবে বেইজিং। প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ১৭ নভেম্বর।
চীনের এই বিরল প্রদর্শনী বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো পর্যবেক্ষণ করবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ঝুহাইতে প্রতি দুই বছর পর একবার এ রকম প্রদর্শনীর আয়োজন করে চীন। এর মাধ্যমে দেশটির মহাকাশ খাত সম্পর্কে ধারণা পায় বিশ্ববাসী। চরম প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাইওয়ানের আশপাশে এমন একটি আয়োজনে বোঝা যায়, চীন সামরিক ও বেসামরিক বিমান খাতের আধুনিকীকরণ ও প্রসারে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করছে।
এর আগে সামরিক বিমান মহড়ার মাধ্যমে তাইওয়ানের চারপাশে ব্যাপক সংখ্যক যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিল বেইজিং; যা দ্বীপাঞ্চলটির জন্য যেমন বিব্রতকর ছিল, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ছিল ক্ষোভের কারণ। তাইওয়ানকে চীনের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল হিসেবে মনে করে বেইজিং।
প্রদর্শনীতে জে-৩৫এ স্টিলথ যুদ্ধবিমান উন্মোচন করা হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এর মতো ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। তবে এই বিমানের বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি চীন।
চীনা সামরিক বিমান চালনা বিশেষজ্ঞ ফু কিয়ানশাও গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, এই স্টিলথ যুদ্ধবিমান চীনকে বিরল খ্যাতি এনে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পর মাত্র দুটি দেশের হাতে স্টিলথ রয়েছে।
আর এসএস-ইউএভি ড্রোন একটি বিরাট ও শক্তিশালী ড্রোন, যেটি থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোট ড্রোন নিক্ষেপ করা যাবে। ছোট ড্রোনগুলো তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ড্রোন এইচকিউ-১৯ উন্মোচন করা হবে। এই ড্রোনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসনিক গ্রাইড যানকে রুখে দিতে পারে। প্রদর্শনীতে থাকবে একটি ডেডিকেটেড ড্রোন জোন, যেখানে ইউক্রেন সংঘাতের মতো যুদ্ধের পরিবেশ দেখা যাবে। প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি সের্গেই শোইগু। এএফপি।