প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। বিদ্যুৎ ঘাটতি হ্রাস ও বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার চিন্তা থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করবে চায়না কোম্পানি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ডিএনসিসি ৩০ একর জায়গা দিয়েছে। সেখানে দৈনিক ৩ হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করা হবে। বর্জ্য সরবরাহ করতে হবে বিনামূল্যে। উৎপাদিত ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিডিবি চুক্তি মূল্য অনুযায়ী কিনে নেবে।

তাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ কিনে নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ। এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না। উৎপাদনে ডিজেলের চাইতেও খরচ কম হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে উৎপাদনে যেতে পারবো বলে আশা রাখি। অন্যান্য সিটি করপোরেশনেও একই প্রক্রিয়া চলমান।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ৩ হাজার টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পৌঁছে দিতে না পারলে উৎপাদকদের ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা দেবে ডিএনসিসি। তেমনিভাবে তারা প্রতিদিন সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারলে ডিএনসিসি তাদের থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে পাবে। বর্তমানে প্রতিদিন ডিএনসিসি এলাকায় সাড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়।

দাম কিছুটা বেশি হলেও ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ তা কিনে নেবে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, এই বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। এর দাম প্রতি ইউনিট ২১ টাকার বেশি পড়বে।

নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও সেটা সামাল দেওয়া গেছে। সামনে আরও ভালো হবে পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, পরিবেশবাদীরা অনেক কিছুই বলে। কয়লার মাধ্যমে উৎপাদন তো বন্ধই আছে। এখন উনারা কী বলবে? পরিবেশবাদীদের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া। কয়লার উৎপাদন বন্ধ রেখে দেখছি কী হয়। তারা বলত কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সুন্দরবনসহ অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।