শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট, ৩ ছাত্রদল কর্মীকে পেটাল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে উপজেলার জুলুহার বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ছাত্রদল কর্মী মো. হাসান, মো. সিয়াম শেখ এবং রিয়ান। আহতরা উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী। তাদের বাড়ি একই ইউনিয়নের শ্রীবতিকাঠী গ্রামে। জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জুলুহার বাজারে জুলুহার গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াদ, মজিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম এবং ফারুক হোসেনের ছেলে ফারজু লোহার রড দিয়ে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর হামলা চালান। অভিযুক্তরা সবাই সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী।

হামলায় আহত সিয়াম শেখ অভিযোগ করে বলেন, রিয়াদ ফেসবুকে শেখ হাসিনার একটি ছবি পোস্ট করে। সেই ছবিতে আমরা ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেই। এ কারণে জুলুহার বাজারে রিয়াদ, সিয়াম, ফারজুসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আমিসহ হাসান ও রিয়ান আহত হয়েছি।’মো. হাসান বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াদ তার বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। রিয়াদের চাচা সোহাগ আমাদের ধরে রাখে এবং রিয়াদ লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিষয়ে সমেদয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার হোসেন বলেন, তারা ক্ষমতায় না থেকেও ছাত্রদলের ছেলেদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন পুরো ইউনিয়নে রিয়াদ ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে। আইনের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সমেদয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমাউন কবির বলেন, সকালে জুলুহার বাজারে স্থানীয় দুই দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি ছাত্রলীগের ছেলেরা ফেসবুকে নাকি শেখ হাসিনার ছবি পোষ্ট করলে তাতে ছাত্রদলের ছেলেরা রিঅ্যাক্ট দিয়েছে।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি মো. বনি আমীন বলেন, ঘটনা শুনেছি। আমি খুলনায়, বিধায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।