ডেস্ক রিপোর্টঃ
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা ইউক্রেনে সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনার কথা বললেও বর্তমান বাইডেন প্রশাসন উলটো সংঘাত বাড়ানোর চেষ্টা করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজে দেওয়া মাইক ওয়াল্টজের একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার (২৫ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পেসকভ বলেছেন, ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ প্রশাসনের জন্য মনোনীতদের কাছ থেকে শান্তি বা শান্তি পরিকল্পনার কথা অন্তত শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের কোনও শব্দ শোনা যাচ্ছে না। বরং উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে তারা। এটাই বর্তমান বাস্তবতা।ম্প প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত মাইক ওয়াল্টজ রবিবার বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প। তিনি যুদ্ধটি দায়িত্বশীল উপায়ে শেষ করতে চান।
তিনি আরও বলেছেন, সংঘাতে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের জড়িয়ে পড়া, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার, কিছু পশ্চিমা দেশ কর্তৃক কিয়েভকে তাদের মিসাইল রাশিয়ার গভীরে নিক্ষেপের অনুমতি দেওয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এই সংঘাতে সম্ভাব্য অংশগ্রহণের বিষয় ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন তাদের আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত কারা আলোচনার টেবিলে থাকবে, অস্ত্রবিরতির শর্ত কী হবে ও উভয় পক্ষকে আলোচনায় আনতে কীভাবে কাজ করা হবে।
ক্রেমলিন ওয়াল্টজের বক্তব্য আমলে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পেসকভ। প্রেসিডেন্ট পুতিন একাধিকবার ইউক্রেন নিয়ে সংলাপের জন্য প্রস্তুতির কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুতিন জুন মাসে শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে বলেছিলেন। পাশাপাশি, মস্কোর দাবি করা ইউক্রেনীয় চারটি প্রদেশ তাদের কাছে হস্তান্তর পুরোপুরি করতে হবে বলেও শর্তারোপ করেছেন তিনি।
তার শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। তারা বলেছে, এভাবে আত্মসমর্পণ ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।