দীর্ঘদিন পর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৪ জানুয়ারি রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দীর্ঘদিন পর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে তাতে উপস্থিত থাকতেই এ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জানান, চার জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। ওইদিন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেকদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানও হবে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। বিকালে সংগঠনটির সাবেক নেতাকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। আর পরদিন পাঁচ জানুয়ারি রক্তদান কর্মসূচি, এরপর শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের দেখভালে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীতে উপস্থিত থাকতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করবেন।’
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের পাশাপাশি সারাদেশের ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে প্রায় সবার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠান সফল করতে নেওয়া হচ্ছে সার্বিক প্রস্তুতি। শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন সংগঠনটি দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের চার নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চমক হিসেবে থাকছে পুনর্মিলনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। পাশাপাশি সাবেক নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন পায়রা এবং পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন করবেন।’