নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে ফুটবল খেলার জেরে দ্বন্দ্বে জাহাঙ্গীর হোসেন (২২) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের উরুলিয়া গ্রামে। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন উরুলিয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় একই গ্রামের শাহীন (২০) ও তানজিল (২৬) নামে আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত ২৮ মে দুই গ্রাম উরুলিয়া ও মির্জাপুর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের ফুটবল খেলোয়াড় ও তাদের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। সে ঘটনার ১৪ দিন পর গত রোববার বিকালে জাহাঙ্গীর হোসেন তার দুই বন্ধু শাহীন ও তানজিলকে নিয়ে চালাকচর বাজার রয়েল ফাস্টফুড থেকে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম উরুলিয়ায় ফিরছিলেন।
এ সময় ৮-১০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের দল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার দুই বন্ধু শাহীন ও তানজীলকে বেধড়ক মারধর করে। দুর্বৃত্তদের মারধরে জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহীন মিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তানজীল গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে এবং শাহীনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। ঘটনার ৫ দিন পর শুক্রবার রাতে মারা যান জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থানায় একটি মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছিল। এটি এখন হত্যাকাণ্ডের ধারায় পরিণত হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে।