পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

পিরিয়ডের সময় ব্যথা সহ্য করতে হয় অনেক নারীকেই। এটি সহজ কিছু নয়। এই ব্যথার তীব্রতা কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। অনেকেই এই ব্যথা থেকে বাঁচতে পেইন কিলার বেছে নেন। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার খেলে তার ক্ষতিকর অনেক প্রভাব পড়ে শরীরে। বিশেষ করে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় ব্যথা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়-

১. হিটিং প্যাড

হিটিং প্যাডের মতো বাহ্যিক প্রতিকারও অত্যন্ত কার্যকর। তলপেটে তাপ প্রয়োগ করলে তা জরায়ুর পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে ও ক্র্যাম্পের তীব্রতা হ্রাস করে। তাপ রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, পেশীর দৃঢ়তা সহজ করে এবং আরাম দেয়। হিটিং প্যাড ব্যবহার করা সহজ এবং তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ দেয়।

২. ভেষজ চা

ভেষজ চা পান করা, যেমন আদা, পেপারমিন্ট বা ক্যামোমাইল ক্র্যাম্প প্রশমিত করতে পারে। এটি পেটফাঁপা কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে পারে। এই চায়ে প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি বমি বমি ভাব কমাতেও সাহায্য করে, যা পিরিয়ডের সময় সাধারণ সমস্যা। ২০২০ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ১১৮ জন নারী যারা তাদের পিরিয়ডের আগে এবং চলাকালীন দিনে তিনবার ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যামোমাইল গ্রহণ করেছিলেন তাদের পিরিয়ডের সময় রক্তপাত কম হয়েছিল।

৩. হাইড্রেশন

পেটফাঁপা কমাতে এবং ক্র্যাম্প সহজ করার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য। ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রতিদিন ১৬০০-২০০০ মিলি পানি পান করলে তা প্রাথমিক ডিসমেনোরিয়ার তীব্রতা কমাতে, মাসিকের রক্তপাতের সময়কাল কমাতে এবং মাসিকের সময় ফার্মাকোলজিক্যাল পেইন কিলারের গড় ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিলকরণে ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মাসিকের ক্র্যাম্পকে আরও খারাপ করতে পারে। পালং শাক, বাদাম, বীজ এবং অ্যাভোকাডোর মতো খাবার ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস এবং মাসিকের সময় ব্যথা এবং পেটফাঁপা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

৫. ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম

মৃদু ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে, যা ক্র্যাম্প কমাতে পারে। এমনকি সাধারণ হাঁটা বা স্ট্রেচিং রুটিন এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং পিরিয়ডের সময় আপনাকে আরও আরামদায়ক বোধ করতে সহায়তা করে।