হাইকোর্টে সাব্বির হত্যা মামলার আসামি জাকিরের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। জামিন নামঞ্জুর করে আবেদনটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়ে দেন আদালত। আজ রোববার (১৮ জুন) তার জামিন আবেদন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, আসামির জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে ডিলিট করে তা ফেরত দেন।

ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ছাত্রদল নেতা জাকির খানের জামিন আবেদন গত ৭ মে নামঞ্জুর করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত উম্মে সারাবান তহুরা। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালত আগামী ১৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রেখেছেন।


গত ৭ মে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার বাদী ও নিহত সাব্বিরের ভাই বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছিলেন, এ মামলা ছাড়াও জাকির খান আরও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। হাইকোর্ট একটি মামলায় তার আট বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। তার যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তিনি বাইরে থাকলে সাক্ষীরা আসতে ভয় পাবেন। আগামী ১৩ জুলাই অন্য সাক্ষীরা আসবেন। আমরা আদালতে বলেছি, তিনি একজন দুর্র্ধষ আসামি। টানবাজারের পতিতালয়ের মালিক ছিলেন তার বাবা। তিনি নিম্ন আদালতে আÍসমর্পণ না করে পালিয়ে গেছেন। ১৯ বছর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময়ও তিনি নানা অপরাধ করেছেন। র‌্যাব তাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে।

সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন দেশের গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালীন একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্য দেওয়ার কয়েকদিন পর ১৮ ফেব্র“য়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। এরপর ওই দিনই নিহতের বড় ভাই তৈমূর আলম বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।