নির্বাচিত না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প: তদন্ত প্রতিবেদনে স্মিথ

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পর বেআইনিভাবে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার পুনর্র্নিবাচিত না হলে ‘ক্ষমতা ধরে রাখার অপরাধমূলক প্রচেষ্টা’র জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হতেন বলে মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

মার্কিন বিচার বিভাগে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের সরকারি তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ।

মঙ্গলবার কংগ্রেসে বিচার বিভাগ প্রকাশিত আংশিক এ প্রতিবেদনে স্মিথ লিখেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে প্রমাণ ছিল, তার বিচার চালিয়ে যাওয়া এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল।

ট্রাম্প এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্মিথ একটা পাগল। তদন্তে তিনি ভুয়া তথ্য দিয়েছেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বাতিলের জন্য কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। জেনেশুনে নির্বাচনী জালিয়াতির মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিলেন এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন।

তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। অপরাধের অভিযোগ ওঠার ওই সময়ে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর চার বছর তিনি ক্ষমতার বাইরে থেকেছেন। তবে ২০২৪ সালের ভোটে আবার সফলভাবে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আগামী সপ্তাহেই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে চলেছেন।

মামলা লড়ার জন্য যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলেও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং মামলা খারিজ হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উপসংহার টেনেছেন স্মিথ।

তিনি বলেন, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিচার করা নিষিদ্ধ থাকায় ট্রাম্পের বিচার চালানো যায়নি।

বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ কেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে মামলা করার পদক্ষেপ নিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ করলেন- সে বিষয়ে বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য উঠে এসেছে কংগ্রেসে প্রকাশিত তার ১৩৭ পাতার প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর কংগ্রেসে পাঠানো হয় এই প্রতিবেদন। আইনি কিছু জটিলতার পর এক বিচারক ছাড়পত্র দেওয়ার পর প্রতিবেদনের প্রথম অংশটি এদিন প্রকাশ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অংশটি প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে এ সপ্তাহে শুনানি অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক আইলিন ক্যানন। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে আছে ফ্লোরিডার বাড়িতে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় গোপন নথি বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ।