মাস্টারমাইন্ডসহ ১৪৪ জনের পরিচয় মিলল
বিএসএমএমইউতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৪৪ জন শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চিহ্নিত হয়েছেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিএসএসএমইউ শাখার সভাপতি, মহাসচিবসহ স্বাচিপের অন্য নেতা ও সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা রয়েছেন।
এসব শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে কেবিন ব্লকের সামনে একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ১৬ জন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মারামারিতে জড়িত ছিলেন ২৫ জন শিক্ষক, চিকিৎসক এবং ৮০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নেপথ্যে থেকে এ ঘটনার নেতৃত্বদান ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন ২৩ জন। শেষের ২৩ জনকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় এই ১৪৪ জনকে প্রথমে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত ও পরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি তাদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা না হলেও নথি হিসেবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে একই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ চিকিৎসক-নার্স-কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মামলার বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি করেছে। সে কমিটির রিপোর্ট আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছি।
গত ৪ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। মারামারি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ৩০-৩৫টি গাড়ি-অ্যাম্বুলেন্স জ্বালানো হয়েছে এবং বিভিন্ন অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হয়েছে। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
এদিন প্রক্টর আরও বলেন, দুই ধরনের শাস্তি পাবেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শাস্তি দেবে ও যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ছাত্র পিটিয়ে হত্যা চেষ্টায় জড়িত ১৬ জন : তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ১৬ জনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন ১. ডা. আবু তোরাব আলী মিম, মেডিকেল অফিসার, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ২. ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, মেডিকেল অফিসার, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ। ৩. নিতীশ রায়, পেইন্টার, পরিচালক হাসপাতাল। ৪. মো. সাইফুল ইসলাম, পেইন্টার, পরিচালক হাসপাতাল। ৫. কাজী মেহেদী হাসান, এমএলএসএস, পরিচালক হাসপাতাল। ৬. শহিদুল ইসলাম (সাইদুল), সহকারী ড্রেসার, পরিচালক হাসপাতাল। ৭. সন্দীপ, সুইপার, পরিচালক হাসপাতাল। ৮. উজ্জল মোল্লা, অফিস সহকারী, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। ৯. সুজন বিশ্ব শর্মা, ড্রাইভার, পরিবহন শাখা। ১০. ফকরুল ইসলাম জনি, এমএলএসএস, ওপিডি-১ বিভাগ। ১১. রুবেল রানা, কাস্টমার কেয়ার এটেনডেন্ট, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার। ১২. শাহাদাত, এমএলএসএস, পরিচালক হাসপাতাল। ১৩. শবনম নূরানী, সিনিয়র স্টাফ নার্স, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ১৪. আনোয়ার হোসেন, এমএলএসএস, ওয়ার্ড মাস্টার অফিস। ১৫. মুন্না আহমেদ, এমএলএসএস, কার্ডিওলজি বিভাগ। ১৬. স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার (মো. আসাদুজ্জামান) এবং তাহার সহযোগী (নাম জানা যায় নেই)।
মারামারিতে জড়িত ২৫ শিক্ষক ও চিকিৎসক : এসব শিক্ষক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরাসরি মারামারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। তারা হলেন ১. অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, ইউরোলজি বিভাগ। ২. ডা. ফারুক হোসেন মুন্সী, সহযোগী অধ্যাপক ইউরোলজি বিভাগ। ৩. অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব, নিউরোলজি বিভাগ। ৪. অধ্যাপক ডা. নাজির মোল্লা, অনকোলোজি বিভাগ। ৫. অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, অনকোলোজি বিভাগ। ৬. অধ্যাপক ডা. সুভাস কান্তি দে, নিউরোলজি বিভাগ। ৭. ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, মেডিকেল অফিসার, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ। ৮. ডা. জাহান শামস নিটল, মেডিকেল অফিসার, অনকোলোজি বিভাগ। ৯. ডা. নূর-ই-এলাহী, উপপরিচালক, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ১০. ডা. হাসানুল হক নিপুন, সহকারী অধ্যাপক, নাক-কান গলা রোগ বিভাগ। ১১. ডা. তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ। ১২. ডা. আশিস কুমার সরকার, সহযোগী অধ্যাপক, রেডিওলজি বিভাগ। ১৩. ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক, গেস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ। ১৪. ডা. শাহনেওয়াজ বারী, সহকারী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ। ১৫. ডা. অমল কুমার ঘোষ, মেডিকেল অফিসার, কার্ডিওলজি বিভাগ। ১৬. ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, মেডিকেল অফিসার রেডিওলজি বিভাগ। ১৭. ডা. মনোয়ার হোসেন, মেডিকেল অফিসার নিউরো সার্জারি বিভাগ। ১৮. ডা. আবু তোরাব আলী মিম, মেডিকেল অফিসার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ১৯. ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, সহকারী অধ্যাপক আইসিইউ বিভাগ। ২০. ডা. মঈনুল হাসান শিপন, মেডিকেল অফিসার সার্জারি বিভাগ। ২১. ডা. বেলাল হোসেন সরকার, উপপরিচালক হাসপাতাল পরিচালক। ২২. ডা. মোহাম্মদ আবিদ, সহকারী অধ্যাপক ডেন্টাল বিভাগ। ২৩. ডা. তারিকুল মতিন, কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ। ২৪. ডা. ওমর ফারুক, মেডিকেল অফিসার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ২৫. ডা. কুতুব উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ।
মারামারিতে জড়িত ৮০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সেদিনের মারামারিতে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে, তারা হলেন ১. মো. আমিনুল ইসলাম পলাশ, সহকারী পরিচালক, মানবসম্পদ বিভাগ। ২. মো. সালাহউদ্দিন সিদ্দিক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার। ৩. মো. সাজেদুল হাসান, হিসাবরক্ষক, রেন্ট কালেক্টর বিভাগ। ৪. মো. লোকমান হোসেন, এমএলএসএস, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ৫. মো. বাবুল আক্তার, সহকারী কম্পিউটার অপারেটর, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি। ৬. নজরুল ইসলাম, এমএলএসএস, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি। ৭. রেজাউল করিম, উচ্চমান সহকারী, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ৮. সাইদুল ইসলাম নান্টু, এমএলএসএস, হাসপাতাল পরিচালক। ৯. সাইদুল ইসলাম বিপ্লব, এমএলএসএস, হাসপাতাল পরিচালক। ১০. রবীন্দ্রনাথ সিং, সাবস্টেশন সুপারভাইজার, হাসপাতাল পরিচালক। ১১. করিম মোল্লা, গাড়ি চালক, পরিবহন শাখা। ১২. মো. বাহালুল পিয়াস, ডেসপাচ রাইডার, রেজিস্ট্রার অফিস। ১৩. মো. আব্দুল মতিন, অডিট অফিসার, পরিচালক অর্থ ও হিসাব বিভাগ। ১৪. সুমন দাস, সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। ১৫. মো. আশরাফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক অডিট। ১৬. মো. জায়দুল হক (জাহিদ), হিসাবরক্ষক অর্থ ও হিসাব বিভাগ। ১৭. এমারত হোসেন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পরিচালক অর্থ ও হিসাব বিভাগ। ১৮. শরিফ উদ্দিন, এমএলএসএস ভিসি অফিস। ১৯. হোসেন আল মামুন, এমএলএসএস ইউরোলজি। ২০. বেলাল হোসেন, ট্রলি ম্যান পরিচালক হাসপাতাল। ২১. শহিদুল ইসলাম, এমএলএসএস ওটি, অর্থোপেডিকস। ২২. আব্দুস সালাম, এমএলএসএস ইউরোলজি। ২৩. পারভেজ মিয়া, এমএলএসএস প্যালিয়েটিভ ওয়ার্ড। ২৪. মো. শাহাবুদ্দিন, এমএলএসএস প্যালিয়েটিভ কেয়ার। ২৫. চন্দন, সুইপার পরিচালক হাসপাতাল। ২৬. মনসুর হেলাল, ফার্মাসিস্ট পরিচালক হাসপাতাল। ২৭. নিশাত মনি, ফিজিক্যাল মেডিসিন কনভেনশন হল। ২৮. হৃদয় শেখ, এমএলএসএস কনভেনশন হল। ২৯. সঞ্জীব কুমার রায়, সহকারী পরিচালক রেজিস্ট্রার। ৩০. রানী আক্তার, এমএলএসএস হাসপাতাল পরিচালক। ৩১. মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন, সহকারী পরিচালক হাসপাতাল। ৩২. সৈয়দ মফিজুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার পরিচালক হাসপাতাল। ৩৩. সানজিদা সুমি, এমএলএসএএস অর্থোপেডিক সার্জারি। ৩৪. মো. ইদ্রিস, এমএলএসএস মিলন হল। ৩৫. মো. আলমম, এমএলএসএস কলোরেক্টাল সার্জারি। ৩৬. মো. আলমগীর হোসেন, এমএলএসএস পরিচালক হাসপাতাল। ৩৭. মো. ইমরান, উপসহকারী প্রকৌশলী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ৩৮. জামাল হোসেন, এমএলএসএস পেলিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন। ৩৯. ওমর ফারুক আপেল, টেকনোলজিস্ট হেমাটোলজি। ৪০. বেলায়েত আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ৪১. মসিউজ্জামান শাহীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিচালক। ৪২. আরিফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিচালক। ৪৩. ফারুক হোসেন, এমএলএসএস গাইনি ওটি। ৪৪. মো. রফিকুল ইসলাম, ডেসপাচ ব্রাইডার নিউনেটোলজি। ৪৫. দবির মোল্লা, এমএলএসএস ফিজিক্যাল মেডিসিন। ৪৬. হারুনুর রশিদ, কম্পিউটার অপারেটর হেপাটোলজি। ৪৭. আবুল ফজল তারেক, অফিস সহকারী রোগী ভর্তি কাউন্টার। ৪৮. রকিবুল ইসলাম, টেকনোলজিস্ট ব্লাড ব্যাংক। ৪৯. রবিউল ইসলাম, ডেসপাচ রাইডার রেজিস্ট্রার অফিস। ৫০. মোক্তার হোসেন, ড্রাইভার পরিবহন শাখা। ৫১. সিজার আলী, এমএলএসএস ও প্রো-ভিসি শিক্ষা। ৫২. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক রেজিস্ট্রার অফিস। ৫৩. অনিক দাস, এমএনএসএস পরিচালক অর্থ ও হিসাব। ৫৪. অমল ম-ল, অফিস সহকারী স্টেট। ৫৫. আব্দুল কাদের, ড্রাইভার পরিবহন শাখা। ৫৬. লিয়াকত আলী ফকির, এমএলএসএস পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক। ৫৭. জহিরুল ইসলাম সোহাগ, সেন্টার ম্যানেজার সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতাল। ৫৮. মো. সাইদুল, এমএলএসএস প্রক্টর অফিস। ৫৯. উজ্জল বিশ্বাস, এমএলএসএস প্রো-ভিসি কার্যালয়। ৬০. স্বাধীন আহমেদ, ড্রাইভার পরিবহন শাখা। ৬১. মোহাম্মদ আলী, ড্রাইভার পরিবহন শাখা। ৬৪. সজিব সিকদার সবুজ, এমএলএসএস পরীক্ষানিয়ন্ত্রক কার্যালয়। ৬৫. অনন মাহবুব, অফিস সহকারী এন্ডোক্রাইনোলজি। ৬৬. মো. আব্দুর রহিম, এমএলএসএএস ইনফারটিলিটি বিভাগ। ৬২. মিজানুর রহমান লিটন, এমএলএসএস প্রো-ভিসি গবেষণা। ৬৩. গীতা রানী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অডিট সেল। ৬৭. রুবেল শেখ, ভিএমএলএসএস পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি। ৬৮. মো. মানিক, এমএলএসএস রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং। ৬৯. বাহাদুর, এমএলএসএস চিফ এস্টেট অফিস। ৭০. মো. রুবেল, এমএলএসএস ল্যাবরেটরি মেডিসিন। ৭১. লিয়াকত আলী শেখ, এমএলএসএস কার্ডিওলজি। ৭২. ওয়াসিম ভূঁইয়া, এমএলএসএস কার্ডিওলজি। ৭৩. সবুজ মিয়া, এমএলএসএস সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ৭৪. মো. ফয়েজ, এমএলএসএস চক্ষুবিজ্ঞান। ৭৫. মো. মফিজ, বাবুর্চি পথ্য বিভাগ। ৭৬. মো. আপন, এমএলএসএস কেবিন ব্লক। ৭৭. সঞ্জয় কুমার রায়, ড্রাইভার পরিবহন শাখা। ৭৮. দেবাশীষ বৈরাগী, সহ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। ৭৯. জয়দেব চন্দ্রপাল, সহকারী পরিচালক পরিচালক অর্থ ও হিসাব। ৮০. মো. শাখাওয়াত হোসেন, এমএলএসএস প্রক্টর অফিস।
মাস্টারমাইন্ড ২৩ : নেপথ্যে থেকে এসব ঘটনার নেতৃত্বদান ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে যাদের শনাক্ত করা গেছে, তারা হলেন ১. অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, নিউরোলজি বিভাগ ও সভাপতি, স্বাচিপ। ২. ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটু, সহকারী অধ্যাপক কার্ডিওলজি বিভাগ ও মহাসচিব, স্বাচিপ। ৩. অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। ৪. অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নিউরোসার্জারি বিভাগ। ৫. ডা. ইন্দ্রজিত কুমার কুণ্ডু, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস বিভাগ। ৬. অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল, অবস অ্যান্ড গাইনি। ৭. অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দীন শাহ, হেমাটোলজি। ৮. অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অর্থোপেডিক সার্জারি। ৯. অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল, হেপাটোলজি। ১০. অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, চক্ষু বিভাগ। ১১. ডা. মো. রাসেল, সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি অনকোলোজি। ১২. ডা. রসুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি বিভাগ। ১৩. ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলম, সহযোগী অধ্যাপক বায়োকেমিস্ট্রি। ১৪. ডা. হেলাল উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক অর্থোডন্টিকস, সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার। ১৫. অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, অধ্যাপক ফিজিক্যাল মেডিসিন। ১৬. অধ্যাপক এসএম মোস্তফা জামান, অধ্যাপক কার্ডিওলজি। ১৭. ডা. ফাতেমা জোহরা, সহকারী অধ্যাপক মনোরোগ বিদ্যা। ১৮. অধ্যাপক হারিসুল হক, অধ্যাপক কার্ডিওলজি। ১৯. ডা. বিজয় কুমার পাল, সহযোগী অধ্যাপক পাবলিক হেলথ। ২০. ডা. বিদ্যুত চন্দ্র দেবনাথ, সহযোগী অধ্যাপক জেনারেল সার্জারি। ২১. ডা. জিএম সাদিক হাসান, সহকারী অধ্যাপক নেফ্রোলজি। ২২. অধ্যাপক জাহানারা আরজু, অধ্যাপক কার্ডিওলজি। ২৩. মো. আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়।
কী ধরনের শাস্তি পাবেন তারা : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। অপরাধের ধরন অনুযায়ী চাকরিচ্যুতি, পদাবনতি, ইনক্রিমেন্ট কাটা হতে পারে ও তিরস্কার পেতে পারেন। মামলার ফলে অভিযুক্তরা আসামি হলে তাদের চাকরি এমনিতেই থাকবে না। পুলিশ যদি তদন্ত কমিটির তালিকা আমলে নেয়, তাহলে সবাই সাময়িক বরখাস্ত হবেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, থানা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত ২৩ জনকে বেশি আমলে নিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। অপরাধের ধরন অনুযায়ী চাকরিচ্যুতি, পদাবনতি, ইনক্রিমেন্ট কাটা হতে পারে ও তিরস্কার পেতে পারেন। মামলার ফলে অভিযুক্তরা আসামি হলে তাদের চাকরি এমনিতেই থাকবে না। পুলিশ যদি তদন্ত কমিটির তালিকা আমলে নেয়, তাহলে সবাই সাময়িক বরখাস্ত হবেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, থানা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত ২৩ জনকে বেশি আমলে নিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেওয়া হবে।