আধুনিক যুগের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যার স্মৃতি হয়ে থাকবে গাজা: হামাস নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট:
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও তার সমর্থকরা গাজায় যা করেছে, তা ফিলিস্তিনের জনগণ ও বিশ্বের স্মৃতিতে আধুনিক যুগের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা হিসেবে গেঁথে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির এই রাজনৈতিক ব্যুরো সদস্য বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ গণহত্যার যুদ্ধে অংশ নেওয়া কাউকে ভুলে যাবে না। নৃশংস গণহত্যার যুদ্ধ থেকে শুরু করে নাৎসিদের মতো অপরাধ – দখলদার ইসরায়েলি ও তার সমর্থকরা যা করেছে, তা আমাদের জনগণ ও বিশ্বের স্মৃতিতে আধুনিক যুগের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা হিসেবে গেঁথে থাকবে।
তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা গাজায় আমাদের জনগণের প্রতি গর্ব ও সম্মানের বাণী উচ্চারণ করছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করা সমস্ত দেশের সম্মানজনক অবস্থানের কথাও স্মরণ করছি। বিশেষত তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় আমাদের ভাইয়েরা।
গাজাকে সমর্থনের জন্য ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আল-হায়া।
তিনি বলেন, আমাদের জনগণের স্থিতিস্থাপকতা অপরাধমূলক দখলদারিত্বের মুখোমুখি হয়েছিল। ফিলিস্তিনি ভূমির সঙ্গে তাদের অবিচল সংযোগ, গোপন বা ঘোষিত উদ্দেশ্য অর্জনকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। আমাদের লোকেরা তাদের ভূমিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল, পালিয়ে যায়নি বা দেশান্তরী হয়নি। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের জন্য সুরক্ষা ঢাল হিসাবে কাজ করেছিল।
ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধের ফলে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে আল-হাইয়া বলেন, প্রথমে আল্লাহর সহায়তায়; তারপরে আমাদের ভাই, মিত্র এবং যারা সংহতি জানিয়েছে তাদের সকলের সহায়তায় আমরা গাজাকে নতুনভাবে পুনর্গঠন করব।
তিনি বলেন, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা ছাড়া ইসরায়েল কিছুই অর্জন করেনি।
তিনি কাতার ও মিশরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ও গণহত্যা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম দিন থেকেই কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং কয়েক দফা আলোচনা চালিয়েছে।
এর আগে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলে সানি রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি প্রথম নিশ্চিত করেন।
গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার ৪৬৭ তম দিনে যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণা আসে। এই যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।