৮ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা: আতিকুল ইসলাম

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

আজ সোমবার (১৯ জুন) বনানীর একটি হোটেলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তখন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। এরপরের বছর থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শেষ করতাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। গত কোরবানির ঈদে বর্জ্য অপসারণ করেছি ১২ ঘণ্টায়। এবার ঘোষণা দিতে চাই, সবার চেষ্টায় এবার আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব। এবার আমাদের টার্গেট আট ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসরণ করা। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা শহর পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি আমি নিজেও মাঠে থাকব।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এ ছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছি। পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তদারকি টিম, কমিটি গঠন করে দিয়েছি। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আমাদের ১১ হাজার কর্মী মাঠে থাকবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা কোরবানি করবেন সেসব নাগরিকের জন্য ৯ লাখ পলিব্যাগ আমরা বিতরণ করব, তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য ঢুকিয়ে আপনারা রেখে দেবেন, সেগুলো আমরা অপসারণ করে নেব। তবে অনুরোধ এসব পলিব্যাগে আপনারা যেন মাংস ঢুকিয়ে ফ্রিজে না রাখেন। এগুলো বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা তৈরি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি অস্থায়ী ৮টি কোরবানির পশুর হাটের আয়োজন এরই মধ্যে করেছে। এ ছাড়া দুই-এক দিনের মধ্যে আরও একটি হাট চূড়ান্ত হবে। অর্থাৎ ডিএনসিসির ৯টি অস্থায়ী হাট এবং গাবতলীর স্থায়ী হাট- এই ১০টি হাটের বাইরে আর কোনো হাট ডিএনসিসি এলাকায় থাকবে না। এর বাইরে কোথাও যদি রাস্তা দখল করে বসানো হয় তাহলে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব এসব হাটের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নেন, অনুমোদন ছাড়া কোথাও যেন হাট বসতে না পারে।’

ডিএনসিসির স্মার্ট হাট প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ স্লোগানে ডিএনসিসির ৮টি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে, আর এই হাটগুলোই হবে স্মার্ট হাট। আমরা ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে সব লেনদেন হবে স্মার্টলি। তেমনি কোরবানির পশুর হাটে আমরা ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারব। এরই মধ্যে ১০ হাজার খামারির অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এই লেনদেনের জন্য। সেক্ষেত্রে টাকা নিয়ে আমাদের আর হাটে যেতে হবে না, গরুর মালিকরাও টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সমস্যায় পড়বে না। কারণ লেনদেন হবে ডিজিটালি।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন চালুকরণ এবং প্রান্তিক পশু বিক্রেতাদের ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এই উদ্যোগের পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করে, যেখানে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এবার আমাদের লেনদেন টার্গেট দেড়শ কোটি টাকা।