ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের গ্র্যান্ড জুরি দেশটির একজন চিকিৎসককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত এক দশকের বেশি সময়ে দুই শতাধিক রোগীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন। খবর এপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডেরিক টড। তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে কয়েকজন রোগী মামলা করেছেন।
রোগীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন যে ডেরিক টড প্রয়োজন ছাড়াই রোগীদের শ্রোণীদেশের থেরাপি দিয়েছেন। তিনি স্তন ও জননেন্দ্রীয়ের পরীক্ষা করেছেন। ২০১০ সালের দিকে এমন যৌন নিপীড়ন শুরু করেন তিনি।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এদিন টডকে দুই নারীর যৌন নিপীড়নের মামলায় দুই দফা ধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার টড আদালতের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে টড মামলায় ১০ হাজার ডলার মুচলেকায় জামিনে রয়েছেন।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, গ্র্যান্ড জুরি চিকিৎসক টডকে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে ও তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া তার পাসপোর্ট ও চিকিৎসাসংক্রান্ত সব অনুমতিপত্র জমা দেওয়ার এবং চিকিৎসা পেশায় যুক্ত না থাকা ও পাসপোর্ট বা অনুপতিপত্রের জন্য নতুন করে আবেদন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দপ্তর থেকে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জুনে ওই দুই নারীকে ধর্ষণ করেন টড। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে।
বোস্টনের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুবিন অ্যান্ড মেয়ারের আইনজীবী উইলিয়াম থম্পসন বলেছেন, চিকিৎসক টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আরও বাড়তে পারে। তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে ১৮০ জনের বেশি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন।
থম্পসন আরও বলেন, চিকিৎসক টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সবে শুরু। চিকিৎসক হয়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি রোগীদের আস্থার সুযোগ নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টডের নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোরী থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব নারীরা রয়েছেন।