‘সে আমার মৃত্যু চায়’, স্ত্রীর নির্যাতনে অতীষ্ঠ স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

স্ত্রীর নির্যাতনে অতীষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্বামী। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন তিনি। তার অভিযোগ, তার স্ত্রী তার মৃত্যু চেয়েছে। এমনকি স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও অত্যাচারের অভিযোগ করে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার বাড়িতে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন বলে পুলিশ সোমবার জানিয়েছে। গত রোববার কর্নাটকের হুব্বালির চামুণ্ডেশ্বরী নগরে এ ঘটনা ঘটে বলে তারা জানিয়েছেন।

 

 

মৃত ওই ব্যক্তির নাম পেতারু গোল্লাপল্লী। তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন এবং আত্মহত্যা করার আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ তুলে একটি নোট লিখে রেখে গেছেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই দম্পতি দুই বছর আগে বিয়ে করেন এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। আর এরই জেরে বিয়ের তিন মাস পর তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মামলা করেন এবং ২০ লাখ রুপি দাবি করেন।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নিহতের ভাই এশাইয়া বলেন, রোববার হওয়ায় সেদিন সবাই গির্জায় গিয়েছিল এবং বিকেলে বাড়ি ফিরে সে তার ভাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে নোটে পেতারু তার মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “বাবা, আমি দুঃখিত। আমার স্ত্রী আমাকে মেরে ফেলছে। সে আমার মৃত্যু চায়।”

তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এশাইয়া বলেন, পেতারু একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন, কিন্তু তিন মাস আগে সেই চাকরি হারান তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চাই। ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা উচিত। আমার ভাইকে যেভাবে কষ্ট দেওয়া হয়েছে, সেভাবে কেউ যেন কষ্ট না পায়। তার বড় ভাইও তাকে মারধর করেছে এবং এ বিষয়ে একটি পুলিশ রিপোর্টও রয়েছে।”

এদিকে ভিকটিমের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৮ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ওই নারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।

পেতারুর বাবা ওবায়ার দাবি, বিচ্ছেদের জন্য তার পূত্রবধূ ২০ লাখ রুপি চেয়েছিলেন। তার কথায়, “স্ত্রীর জন্যই আত্মহত্যা করেছে আমার ছেলে। চিঠিতে সে কথা লিখেছে। পুলিশ সেই চিঠি নিয়ে গেছে। ওর স্ত্রী ওকে ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যায়। স্ত্রীর ভাই বিচ্ছেদের জন্য ২০ লাখ রুপি ভরণপোষণ দাবি করে।”