মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত, চাপে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। দেশটির ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে গত এই তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের এই বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতে অনেক দেশে প্রভাব পড়বে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তান সরকারের ১১টি কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব পড়বে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে। এরমধ্যে জ্বালানির পাঁচটি খাত, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত চারটি খাত, কৃষির পাঁচটি খাত, শিক্ষায় চারটি খাত এবং স্বাস্থ্যে চারটি খাতে সরাসরি প্রভাব পড়বে।

এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া এই নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।

তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ফাঁস হওয়া নথির বিষয়বস্তু বিবিসি নিশ্চিত হয়েছে।

ওই নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। একইসঙ্গে চলমান প্রকল্পের কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যালোচনা শেষ হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, এই নোটিশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বিদেশি সাহায্য কর্মসূচির ওপর অনেক বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইউএসএইড মিশনের সাবেক পরিচালক ডেভ হার্ডেন বিবিসিকে বলেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে মানবিক এবং উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচিগুলোকে স্থগিত করে দিতে পারে।

সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই অর্থায়ন স্থগিতের প্রভাব ইউক্রেনেও পড়তে পারে।