আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমেদ ৫ আগস্টকে স্মরণীয় করতে সেদিনই নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন হিসেবে ৫ আগস্ট সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৫ আগস্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘জুলাই গনঅভ্যুত্থান : গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান। অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছে সংবাদকর্মীদের নতুন সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরাও সংস্কার চাই। তবে স্বল্পমেয়াদি জরুরি সংস্কারগুলো নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য জুলাই-আগস্ট যৌক্তিক সময়। একটা নির্বাচন আয়োজন করতে কী পরিমাণ সময় লাগে আমরা জানি। বিগত ৪০/৪৫ বছর যাবতই এই প্রক্রিয়ায় আছি। তাই যেই তারিখে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেই তারিখে নির্বাচন দিয়ে আরেকটা ইতিহাস তৈরি করুন। এটা শুধু আমাদের দাবি নয়, অন্যান্য দল এবং সাধারণ মানুষেরও দাবি।

তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারও কারও জন্য কঠিন সেটা আমরা জানি। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় না গিয়ে বরং একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে গেলেই সেটা আরও গ্রহণ যোগ্য বেশি হবে। বর্তমান সরকারকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় আন্দোলন করতে হতে পারে বলেও বিএনপির এই স্থানী কমিটির সদস্য জানান।অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে কেন বিলম্ব হচ্ছে, সেটা জনগণকে জানাতে হবে। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর ১৫ দিন পার হয়ে গেছে; এখনো রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। আমি আশা করব, দ্রুত আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য অন্তর্র্বতী সরকার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকারকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য রাস্তায় আন্দোলন করতে হতে পারে। সরকারকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে কিছু উদ্যোগ নেবে বিএনপি।

এসময় গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করেন তিনি।

এসময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে পাহারা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। কেউ এটা ভাববেন না যে, এই আন্দোলন ১০ থেকে ১৫ দিনে হয়ে সফল হয়েছে। এটা ঠিক নয়, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান সফল হয়েছে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক, দৈনিক আমার দেশের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এতে সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।