ক্রীড়া ডেস্ক:
৪২ ম্যাচের লিগ পর্ব। একেবারে শেষ দিন পর্যন্তও যেখানে ছিল উত্তাপে ঠাসা। শেষ সময়ে এসে জয় নিয়ে খুলনা টাইগার্স নিশ্চিত করেছে তাদের প্লে-অফ। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাদের জয় নিশ্চিত করেছে দুর্বার রাজশাহীর বিদায়। আবার একেবারে শেষ ম্যাচে এসে চিটাগাং কিংস বদলে দিয়েছিল প্লে-অফের সমীকরণ। কোয়ালিফায়ারে তারা খেলবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। আর খুলনার প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।
৪২ ম্যাচের লড়াই শেষে বাদ যাওয়া তিন দল দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। এদের মাঝে রাজশাহী এবং ঢাকা দলেই আছেন এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহক। এবারের বিপিএলে লিগ পর্ব শেষে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ঢাকার তানজিদ হাসান তামিম। আর সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ।
ব্যাট হাতে শীর্ষে যারা
রানের তালিকায় সবার ওপরে থাকছেন তানজিদ তামিম। ঢাকা দলগতভাবে ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে এবারের আসরে দারুণ সময় কেটেছে জাতীয় দলের এই ওপেনারের। ১২ ম্যাচের মাঝে ৫ ম্যাচে পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস খেলেছেন। আছে একটা সেঞ্চুরি। মোট রান ৪৮৫। গড় ৪৪ এর বেশি। ১৪১.৩৯ স্ট্রাইকরেটে ৪ ফিফটি আর ১ সেঞ্চুরি আছে তার।
খুলনার নাইম শেখ ৪৪৪ রান নিয়ে আছেন দুইয়ে। তিনি অবশ্য এলিমিনেটর ম্যাচে থাকছেন। সেখানে জিতলে আরও দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে তার সামনে। ৩ ফিফটি আর ১ সেঞ্চুরি তার ব্যাট থেকে। স্ট্রাইকরেট ১৪৮। টুর্নামেন্টে ৪০০ এর বেশি রান এই দুজনেরই।
দুর্বার রাজশাহীর এনামুল হক বিজয় আছেন তিনে। তার রান ৩৯২। ১ সেঞ্চুরি আর ২ হাফ সেঞ্চুরি করা বিজয় এবারের আসরে খেলেছেন ১৩০ স্ট্রাইকরেটে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসান করেছেন ৩৮৯ রান। চিটাগাং কিংসের গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাটে আছে ৩৭৭ রান।
তাসকিনই বল হাতে সেরা
তাসকিন আহমেদের কাছ থেকে এবারের বিপিএল পেয়েছে রেকর্ডগড়া বোলিং ফিগার। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এক ইনিংসেই ছিল ৭ উইকেট। তাসকিন এবারের আসরে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। বরিশালের বিদেশি পেসার ফাহিম আশরাফ দেশে ফেরার আগে পেয়েছেন ২০ উইকেট। রংপুর রাইডার্সের আকিফ জাভেদের ঝুলিতে আছে ১৯ উইকেট।
১৮ উইকেট পেয়েছেন চিটাগাং কিংসের দেশি পেসার খালেদ আহমেদ। রংপুরের খুশদিল শাহ এবং খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার রনি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে শিকার করেছেন ১৭ উইকেট।