জামায়াত কর্মী হত্যার ১২ বছর পর আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ওয়ারেছ আলী (৫৫) হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ১২ বছর পর মামলা হয়েছে। এ মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সহ-সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি ও জয়নাল আবেদীনসহ আওয়ামী লীগের ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে আরও ৩৫ থেকে ৩৬ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সোমবার নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তালেব আকন্দ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক ওমর ফারুক মামলাটি আমলে নিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর এনায়েতপুর থানার একজন সক্রীয় কর্মী ওয়ারেছ আলী। তিনি ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে এনায়েতপুর হাটে কাপড় বিক্রয়ের উদ্দেশে ভ্যানে করে রওনা হন। এই হাটের মধ্যে হাফেজ আল-আমিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরবর্তীতে তারা দুজন একত্রে বাড়ির উদ্দেশে বের হন। এরই এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশের সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে তার ওপর আতংকিত হামলা চালায়। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইন ফোন নিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হাফেজ আল-আমিনকে কিল-ঘুষি মেরে এনায়েতপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলীকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল তারা। এই হত্যার পর আমাদেরকে তারা সতর্ক করে দেয়, এটা নিয়ে যেন কোনো প্রকার মামলা করা না হয়। পরে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শ অনুযায়ী এতদিন মামলা করা হয়নি। কিন্তু সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অবশ্যই মামলা করব। এখন তাই করলাম।