পুলিশের পরিবর্তে আলাদা ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগের সুপারিশ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
বর্তমানে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে পুলিশ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ অনেক সময় যাত্রীবান্ধব হয় না। বিশ্বের বহু দেশে পুলিশের পরিবর্তে আলাদা ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করা হয়। বাংলাদেশেও যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথক ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ থেকে ২০ শতাংশ ডেপুটেশনে রাখা যেতে পারে। ইমিগ্রেশন অফিসারদের দেশবিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে।
ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস সংস্কারের বিষয়েও সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস বর্তমানে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে। অপরদিকে ভূমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও হস্তান্তর সংক্রান্ত দুটি আলাদা অফিস থাকায় জনদুর্ভোগ ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়। এমন দ্বৈত ব্যবস্থাপনা বাতিল করে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হলো।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে জমি ক্রয়-বিক্রয় রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে উপজেলা ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে সমন্বয় সাধন সঠিকভাবে হয় না। সাম্প্রতিককালে ভূমি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হলেও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এখন পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আসেনি। দুটি অফিসকে অবিলম্বে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকেও ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এনে একটিকে অপরটির সঙ্গে সংযোগ করে দিতে হবে; যেন জমি সংক্রান্ত তথ্য উভয়ের কাজে সহজলভ্য হয়।
এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনগুলো হস্তান্তর করেন।