
ক্রীড়া ডেস্ক:
কথা ছিল অন্যরকম বিপিএলের। কিন্তু কে রাখে কার কথা! অন্যবারের মতো এবারও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি শেষ হয়েছে সমালোচনার মালা গলায় দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এসেছে আমূল পরিবর্তন। নাজমুল হাসান পাপনের বদলে ফারুক আহমেদের অধ্যায় চলছে। ক্রিকেট সংস্থাটির প্রতিবেশেও ছিল পরিবর্তনের হাওয়া। তবে পরিবর্তন করা যায়নি বিপিএলের সমালোচনার মালা। বিভিন্ন নেতিবাচক ইস্যু বিপিএলের সঙ্গে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে ছিল যে, সেটিকে মালা বললে অত্যুক্তি করা হবে না। পারিশ্রমিক ইস্যু থেকে শুরু করে খেলা দেখানোর অনুষঙ্গে ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
গতকাল ছিল একাদশ বিপিএলের শেষ দিন।
দেখতে দেখতে ১১টি আসর পার হলেও ব্র্যান্ড হিসেবে বিপিএল এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএল। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে আইপিএলের জনপ্রিয়তা সবার ওপরে। এর চার বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় বিপিএল। কয়েক বছরের মধ্যে বিপিএল সারা বিশ্বের নজর কাড়ে। কিন্তু উন্নতির ধারায় পা না বাড়িয়ে বিপিএল পড়ে থাকে এক জায়গায়।
কোনো কোনো আসরে জোর জবরদস্তি করে কিছু জায়গায় উন্নতি করা হলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। সেগুলো নিয়ে বর্তমানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও আফসোস করেন। ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার আশা তিনি করেছেন, আশা দেখিয়েছেন। কিন্তু এমন প্রত্যাশার কথা শুনতে শুনতে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, ‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরাচ্ছে’। তবে ফারুকের প্রত্যাশার কথা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে পরিণত হলে আখেরে লাভ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের।
বিপিএলের পরে বিভিন্ন দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জন্ম হয়েছে। সে কারণে সময়সূচি ঠিক করা থেকে শুরু করে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া নিয়ে খাবি খেতে হয় বিসিবিকে। ক্রিকেট আমোদী মানুষ বলেন, আইপিএলের মতো এখন যদি বিপিএল একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়াতে পারত, তাহলে এমন সমস্যা হওয়ার প্রশ্নই ছিল না। সেটি নিয়ে বিসিবি প্রধানও আক্ষেপ করেন।