
ডেস্ক রিপোর্ট:
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, বায়ুমণ্ডল এবং বিকিরণ থেকে সুরক্ষা– সবকিছুই মানবদেহের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য উপযোগী। এমন ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ না থাকায় মহাকাশ ভ্রমণকালে নভোচারীদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাইক্রোগ্রাভিটি, উচ্চশক্তির বিকিরণের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মহাকাশচারীদের দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশচারীকে সরাসরি এই উচ্চশক্তির বিকিরণের মুখোমুখি হতে হয়। এর ফলে তাদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। স্নায়বিক সমস্যা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে।
মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব থাকায় মাধ্যাকর্ষণের অভাবে নভোচারীর শরীরে থাকা তরল মাথার দিকে উঠে যায়, ফলে মুখ ফোলা দেখায় ও চোখের ভেতরে চাপ বাড়ে, যার কারণে কমে যায় দৃষ্টিশক্তি। একইভাবে কমে যায় হাড়ের ঘনত্ব। তাতে কমে যায় পেশির কার্যকারিতা। মহাকাশচারীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হয় মানসিক। দীর্ঘ সময় মহাকাশ স্টেশনের সীমিত স্থানে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করায় মানসিক চাপ, অনিদ্রা, মস্তিষ্কের দুর্বলতাসহ নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন নভোচারীকে। রয়টার্স।