এক্সে ঝারলেন ক্ষোভ ভারতীয় মন্ত্রীর কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া

প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, তার কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে পোস্ট করেছেন তিনি। ভারতীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়া ‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা’ করছে। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, ভাঙা সিটের ব্যাপারে বিমানের এক ক্রুকে জিজ্ঞেস করা হলে তাকে বলা হয়, এই সিটটিতে যে ত্রুটি রয়েছে সেটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল এবং এটির টিকিট বিক্রি না করতেও বলা হয়েছিল।

তিনি এক্সে লিখেছেন, “পুসার কৃষাণ মেলা উদ্বোধন করতে আজ আমার ভোপাল থেকে দিল্লি আসতে হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়।”

“আমি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নাম্বার এআই৪৩৬ এ একটি টিকিট বুক করি। আমাকে ৮সি সিটটি দেওয়া হয়। বসতে গিয়ে দেখি সিটটি ভাঙা এবং নিচু হয়ে আছে। সেখানে বসতে অস্বস্তি হচ্ছিল।”

“আমি যখন ক্রুকে জিজ্ঞেস করি সিট ভাঙা সত্ত্বেও কেন আমাকে এটি দেওয়া হয়েছে কেন। তারা জানায় এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছে এবং টিকিট যেন বিক্রি না করা হয় সেটি বলা হয়েছে।” কিন্তু সেখানে এমন সিট একটি নয়, আরও বেশ কয়েকটি সিট এমন ছিল বলে জানান তিনি।

পরে অন্য যাত্রীরা তাকে ভালো সিটে বসতে বললেও সেটি তিনি গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “সহযাত্রীরা আমাকে অনুরোধ করে আমি যেন সিটটি পরিবর্তন করে একটি ভালো সিটে বসি। কিন্তু নিজের জন্য আমি কেন আরেকজনকে কষ্ট দেব। আমি সিদ্ধান্ত নেই এখানেই বসে ভ্রমণ করব।”“আমার ধারণা ছিল টাটা মালিকানা কিনে নেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার সেবা ভালো হবে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।”

বিমান সংস্থাটি যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “অস্বস্তিতে বসা নিয়ে আমি কিছু ভাবিনি। কিন্তু টিকিটের জন্য পূর্ণ অর্থ নেওয়ার পর যাত্রীদের এমন সিটে বসতে দেওয়া নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত। তারা কি যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে না?”

“এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ কী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে যেন ভবিষ্যতে কোনো যাত্রী এমন পরিস্থিতিতে না পড়েন। নাকি যাত্রীদের ওপর তারা সুযোগ নিতে থাকবে।”— বলেন তিনি।

এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। বিমান সংস্থাটি লাভজনক করতে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি এটির মালিকানা কিনে নেয় ব্যবসায়ী গ্রুপ টাটা।