স্ত্রীর সামনে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নে পূর্বশত্রুতার জেরে দিনের বেলায় স্ত্রীর সামনে পিটিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনকে (৫০) হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।

এর আগে, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নে ও মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত শুক্রবার দুপুরে কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামের হোম টাউন (গ্রিন সিটি) আবাসিক প্রকল্পের একটি ফাঁকা অংশে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা করেন।

ধামরাই থানা পুলিশ জানায়, শনিবার মাখুলিয়া এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় তদন্তে নামে ধামরাই থানা পুলিশ।

এ সময় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নে ও মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় শনিবার তার স্ত্রী মামলা করেন।

মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ১১ ও ১২ নম্বর আসামি অনিক ও শয়নকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও ধামরাইয়ের কুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, আকসিরনগর আবাসিক প্রকল্পের শুরুর দিকে জমি ক্রয়, মাটি ভরাটসহ নানা কাজে মালিকপক্ষের হয়ে কাজ করতেন কুল্লা ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বাবুল হোসেন।

পরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে জমির মালিকানা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে আবাসন প্রকল্পটির মালিকপক্ষ। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের পক্ষে কাজ করেন বাবুল। সম্প্রতি তিনি আবার আবাসন প্রকল্পের মালিকপক্ষের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এ কারণে স্থানীয় কয়েকজন বাবুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, আমার সামনেই আমার স্বামীকে তারা হত্যা করেছে। আমার স্বামী ফসলের মাঠে বাইক দিয়ে সরিষা মাড়াই করছিলেন। আমাদের পাড়ার ৫ থেকে ৬ জন টেঁটা, হাতুড়ি, লোহার পাইপ নিয়ে সেখানে আসে। তারা তাকে একটু দূরে নিয়ে চোখ তুলে ফেলে ও হাত-পা ভেঙে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, হামলায় আফসান, মনির, আরশাদ ও আরশাদের ছেলেসহ আরও দুজন ছিল। এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আকসিরনগর প্রকল্পের ভেতরে একটি পুকুর থেকে নিহত বাবুলের বাবা ইদ্রিস আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল ধামরাই থানা পুলিশ।