পুঠিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

রাজশাহী প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নাটোর মহাসড়কের বিড়ালদহ মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

এলাকাবাসী জানায়, বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের সমর্থক ইউপি সদস্য রফিকুল। তার নিকট টিসিবি কার্ডের ভাগ চান পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইসফা খায়রুল হক শিমুলের কর্মীরা। এরই জেরে রোববার বেলা ১১টার দিকে রফিকুলকে বিড়ালদহ মাজারের সামনের মহাসড়কের ওপর ঘিরে ধরে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে শিমুলের সমর্থকরা। এসময় স্থানীয়রা রফিকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রফিকুলের সমর্থকরা। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে রফিকুল ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিএনপির একাংশ। এর ফলে দুই পাশে দুই কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত হয়ে আবরোধ তুলে দিলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

জাহিদ ইসলাম নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, মেম্বার রফিকুল ইসলাম বিড়ালদহ থেকে বানেশ্বর যাচ্ছিল। এখানে শিমুলের লোকজন ছিল। রফিকুল মেম্বারকে তারা ৮ থেকে ১০ জন মিলে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সাংগঠনিক কোনো ব্যাপার আছে কিনা বিষয়টা আমার জানা নেই। আমরা ঘটনাটি পুরোপুরি পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করছি।

রাজশাহী পবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, এখন গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।