
বন্যা আক্তার:
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মেয়েদের নামাজের জায়গা উদ্বোধন করা হয়েছে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান টিএসসি অডিটোরিয়ামের উত্তর পাশে মেয়েদের জন্য প্রস্তুতকৃত নামাজের জায়গাটি উদ্বোধন করেন।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে চুক্তিবদ্ধ ‘গ্রীন ফিউচার ফাউন্ডেশনে’র অর্থায়নে নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে টিএসসিতে মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা বরাদ্দ চেয়ে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিএসসি ডিরেক্টর অফিস থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশল বিভাগ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ বিষয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সংগঠক তাবাসসুম নুপা বলেন, আমরা শুধু স্মারকলিপি প্রদান করেই ক্ষ্যান্ত ছিলাম না। দফায়-দফায় প্রশাসনের সাথে মিটিং এবং এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছিলাম বিগত দুই মাস ধরে। অবশেষে আজকে প্রথম নামাজ পড়ার মাধ্যমে অন্তরে যে প্রশান্তি অনুভব করছি, তা বলার মতো নয়।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, টিএসসিতে নামাজের জায়গার দাবিটা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিলো। এর আগে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও আমরা সফল হতে পারিনি। ডিসেম্বরের শুরুতে তাই আটঘাট বেঁধেই নামি, যেভাবেই হোক এটাকে সফল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গ্রীন ফিউচার ফাউন্ডেশনকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের উদ্যোগটি এভাবে সফলতার প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে এমন আরো কিছু উদ্যোগ নিয়েছে ও নিচ্ছে। আশা করি সেগুলোতেও প্রশাসনকে এভাবে পাশে পাব।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল টিএসসিতে মেয়েদের নামাজের স্থান অনুমোদনের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চান। তবে ১২ এপ্রিল সেখানে জোহরের নামাজ আদায় করেন একদল নারী শিক্ষার্থী। ঘটনার জেরে সেদিন রাতেই অজ্ঞাত কে বা কারা এসে ছেলে এবং মেয়েদের স্থানের গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং মেয়েদের নামাজের স্থানের কার্পেট সরিয়ে ফেলে। এরপর থেকে সেই জায়গায় নামাজ পড়ার সুযোগ পেলেও মেয়েদের নামাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।