টানা ২৬ ঘণ্টা ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফটকে অবস্থানে আহতরা

নিজেস্ব প্রতিবেদক:
এক দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে টানা ২৬ ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত একদল আন্দোলনকারী। তারা গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রধান ফটক ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩০ জন আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান করছেন। জাতীয় পতাকাবাহী সরকারি কোনো গাড়ি ফটকের সামনে আসলেই তারা স্লোগান দিচ্ছেন— এক দুই তিন চার, সব শালার বাটপার।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে এখানে তারা খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেছেন। সকালে অনেকে আশেপাশে কোথাও গিয়েছেন। ফলে এখন মানুষের সংখ্যা কম। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জুলাই আহতরা রওনা হয়েছেন। দাবি আদায়ে তারাও দুপুর-বিকাল নাগাদ যোগ দেবেন।
শুরুতে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে আসলেও পরে তারা এক দফা দাবিতে অনড়। তা হলো-বৈষম্য নিরসনে আহত ব্যক্তিদের তিন ক্যাটাগরির পরিবর্তে দুটি করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা জানান, আহত ব্যক্তিদের তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। তারা বলছেন, এই ক্যাটাগরির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট নয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরিতে যারা থাকবেন, তাদের চাকরি দেওয়া হবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যদি চাকরিই দেওয়া হয়, তাহলে বয়স্ক যেই ব্যক্তিরা আছেন, তাদের কীভাবে চাকরি দেওয়া হবে? এ জন্য আমরা চাই, এ ও বি—এই দুই ক্যাটাগরি রাখতে হবে।
জুলাই আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জে ছিটা গুলিতে আহত হয়েছিলেন নাজমুল আহসান। পরে তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সকালে নাজমুল বলেন, আমাদেরকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সরকার বৈষম্য তৈরি করছে। অনেক গুলিবিদ্ধ যারা আছেন তাদের সি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। যা স্পষ্ট আমরা বৈষম্য দেখছি। তাই আমরা দুইটি ক্যাটাগরি চাই। আমাদের এ দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালবে। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জুলাই আহতদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। আশা করছি দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে সবাই উপস্থিত হবেন।