
প্রোটিন হলো পেশী রক্ষণাবেক্ষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং টিস্যু মেরামতসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অপরিহার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অনেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না-ও করতে পারেন, যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ সনাক্ত করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. পেশী দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে শরীর তার শক্তির চাহিদা পূরণের জন্য পেশী টিস্যু ভেঙে ফেলতে পারে, যার ফলে পেশী ক্ষয়, দুর্বলতা এবং ক্রমাগত ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কারণ প্রোটিন পেশী রক্ষণাবেক্ষণ এবং শক্তি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. চুল, ত্বক এবং নখের সমস্যা
প্রোটিন হলো চুল, ত্বক এবং নখের গঠন উপাদান। এর ঘাটতির ফলে চুল পাতলা হওয়া, চুল পড়া, ভঙুর নখ ও শুষ্কতা এবং অস্থিরতার মতো ত্বকের সমস্যা হতে পারে। শরীরে সুস্থ টিস্যু কাঠামো বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব হলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
৩. বারবার সংক্রমিত হওয়া
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যক। এর ঘাটতি শরীরের পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধক কোষ এবং অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে সংক্রমণ এবং অসুস্থতার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৪. ক্ষত নিরাময় হতে দেরি হওয়া
টিস্যু মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। অপর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ শরীরের ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতাকে ধীর করে দিতে পারে, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে কার্যকরভাবে পুনর্র্নিমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানের অভাব থাকে।
৫. মেজাজ পরিবর্তন এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতা
প্রোটিন থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো নিউরোট্রান্সমিটারের পূর্বসূরী যা মেজাজ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোটিনের অভাব হলে তা মেজাজের পরিবর্তন, খিটখিটে ভাব এবং মনোযোগ ও মানসিক স্পষ্টতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।