ঢাকায় আজ শান্তিরক্ষী দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভা শুরু
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
- প্রাধান্য পাবে শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা
- অংশ নিচ্ছেন জাতিসংঘের দুই আন্ডার সেক্রেটারিসহ ৪০ দেশের প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কাজে অংশগ্রহণকারী ও অর্থায়নকারী দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হবে আগামী ডিসেম্বরে। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা আজ রোববার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। দু’দিনের সভায় যোগ দিতে এসেছেন জাতিসংঘের দুই আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৪০ দেশের ৯৫ প্রতিনিধি। সভায় গুরুত্ব পাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা।
সভার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটি মূলত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক সভা। এতে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শন করবেন। জাতিসংঘের দুই আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈশ্বিক শান্তিরক্ষার অংশ হিসেবে এই সভা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানায় শান্তিরক্ষী দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। ঢাকায় প্রস্তুতিমূলক সভায় ৪০ দেশের শান্তিরক্ষাবিষয়ক মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও অন্য প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। প্রস্তুতিমূলক সভা বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়ে যৌথভাবে আয়োজন করছে। এই সভার থিম হচ্ছে– ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় নারীরা’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা কৌশল নীতি ও মানদণ্ডবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড এবং শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাকোক্স সভায় অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক দেশ স্থানীয় দূতাবাসের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবে। সভায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ এবং ভালো চর্চাগুলোর মাধ্যমে অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা কৌশল বাস্তবায়নে বিনিয়োগ ও সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য পথনকশা তৈরিতে কাজ করবে। এ ছাড়া প্রস্তুতিমূলক সভায় নারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি আচরণ ও শৃঙ্খলা, বৈষম্য ও যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলো স্থান পাবে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিবন্ধকতা বোঝা, নারীদের অর্থবহ অংশগ্রহণ ও মোতায়েন বৃদ্ধি, লিঙ্গ সমতার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি : আচরণ ও শৃঙ্খলার জন্য জবাবদিহিতা জোরদারে কার্যকর অংশীদারিত্ব; শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা কৌশল (ইউজিপিএস) অর্জন ও বাস্তবায়ন; ইউজিপিএস বাস্তবায়নে অবদানকারী দেশগুলোর জন্য সহায়তা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্ত অঙ্গীকার গড়ে তোলা নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশন হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং পুলিশ এ সভার সমন্বয় করবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, ঢাকার কানাডিয়ান দূতাবাস এবং জাতিসংঘের সদরদপ্তর সভার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যেহেতু বাংলাদেশকে সবাই গুরুত্ব দেয়, তাই আয়োজক হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। প্রস্তুতি সভায় মূল বৈঠকের আলোচনা অনেকটাই হয়ে যায়।