ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে নারী নেতৃত্ব বেড়েছে। দলটির নবগঠিত ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে ৭৪ জনের নাম ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ নারী রয়েছেন ১৯জন। এ হিসাবে নারী নেতৃত্বের হার ২৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আগের কমিটিতে নারী নেতৃত্বের হার ছিল ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অবশ্যই নারী নেতৃত্ব বাড়লেও নির্বাচন কমিশনের শর্ত এখনও পূরণ হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের শেষদিন (শনিবার) দলের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা হয় আরও ৩২ জনের নাম। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মধ্যে নারী রয়েছেন ১৯ জন। এরমধ্যে সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন। অবশ্যই এই তিনজন আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন। এছাড়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ড. দীপু মনি স্বপদে রয়েছেন। নতুন করে অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদে এসেছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান। আগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার স্থলে নতুন এসেছেন মেহের আফরোজ চুমকি। কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুর নাহার চাঁপা বহাল রয়েছেন স্বপদেই।
কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান ও সিমিন হোসেন রিমি বাদ পড়লেও বেশ কয়েকজন নারীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে। নতুন পুরনো মিলিয়ে এখানে যেসব নারী স্থান পেয়েছেন, তারা হলেন—আখতার জাহান, মেরিনা জামান কবিতা, পারভীন জামান, হুসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা খাতুন, সানজিদা খানম, মারুফা আক্তার পপি ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্না।
এরআগে, ২০১৬ সালের সম্মেলনের পর গঠিত কমিটিতে ১৫ জন নারী কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। অবশ্যই, ওই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর বাড়িয়ে ৭৩ থেকে ৮১ করা হয়েছে। এ হিসাবে নারী নেতৃত্বের হার দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে, ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ৪টি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। বিষয়টি হিসাবে ধরলে নারী নেতৃত্বের হার দাঁড়িয়েছিল ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রের এ-সংক্রান্ত ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার সময়সীমা একবছর বাড়িয়ে ২০২১ করা হয়েছে। তবে, আওয়ামী লীগের এই সংশোধনী আইন অনুযায়ী হয়নি বলে মনে করে ইসি।