
রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অন্তত আটজন। এর মধ্যে দুই নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াশিমের স্ত্রী জান্নাতুন (২৮) এবং উপজেলার তেবিলা গ্রামের রেন্টুর স্ত্রী তহমিনা (৩২)।
পারিবারিক বিরোধ, কলহ ও সহিংসতার জেরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, দুর্গাপুর বরাবরই আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহিৃত। রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে এ উপজেলায়।
রামেকের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘দুজন তো মারা গেছে। দুর্গাপুর থেকে আসা বিষপানের আরও তিন রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।’
বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী অন্যরা হলেন উপজেলার পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের শিশুসন্তান তানজিমুল (৩), কানপাড়া গ্রামের বীথি (৩০), দেবীপুর গ্রামের মহনা (১৮), পানানগর গ্রামের আ. সাত্তার (৪৫), কাশেমপুর গ্রামের ইরিন খাতুন (২০) এবং সায়বাড় গ্রামের হাবিবা খাতুন (১৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান বলেন, ‘কীটনাশক পান করে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর তিনজনকে দুর্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা ও মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের এ সদস্য আরও বলেন, ‘নানা কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তবে পারিবারিক কলহ ও সহিংসতা প্রধান কারণ।’