কর্মবিরতিতে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএসের ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। ফলে কার্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

রোববার (২ মার্চ) কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে কর্মকর্তাদের অবস্থানও নিয়েছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে অন্যতম বড় ক্যাডার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার।

আজ বেলা ১১টার দিকে এই অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। এতে শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদের কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকেও অংশ নিতে দেখা যায়।

এর আগে শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

মফিজুর রহমান জানান, কর্মবিরতির সময় কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ও ব্যানার হাতে অবস্থান করবেন। তিনি বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের ২২ কর্মকর্তা কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই ২২ জনের লেখা উপদেষ্টাদের দেখানো হলে তারাও বিস্ময় প্রকাশ করেন।’

এ সময় মফিজুর রহমান বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে আবারও তাদের ১৪ সুপারিশ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সভায় মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকেই পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেও সিভিল সার্ভিসে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। অথচ জনদাবি উপেক্ষা করে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে।

মফিজুর রহমান বলেন, এ প্রতিবেদন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এবং প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ আরিফ হোসেন। এ সময় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।