দুদকের মামলা থেকে মুক্ত লোকমান

মোহামেডানের নির্বাচন মে মাসে

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু ক্লাবটির অনেক সংকট দূর হয়নি। দুই বছর মেয়াদের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদও শেষ হয়েছে এক বছর ১১ মাস আগে। আগামী ৫ মার্চ আরও দুই বছর পার হবে। তবে নির্বাচনের খোঁজ নেই। গত শনিবার মোহামেডানের পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়েছে। সভা সূত্রের খবর, আগামী মার্চে নির্বাচন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্লাব সংগঠনটি নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে তার আগে আদালতের নির্দেশনা নিতে হবে বলে মোহামেডান পরিচালক জামাল রানা জানিয়েছেন।

২০২১ সালের ৬ মার্চে হয়েছিল মোহামেডানের নির্বাচন। ২০২৩ সালের ৫ মার্চের মধ্যে নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নির্বাচন হয়নি, পুরোনো পর্ষদেই চলছে। আশার কথা হচ্ছে, এবার নির্বাচনের বিষয়ে তৎপর হয়েছে মোহামেডান। সভা সূত্রে জানা গেছে, মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া মোজাম্মেল বাবুর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় তাকে সদস্য পদ দেওয়া হয়নি।

মোহামেডানের সাবেক ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ দুদক যত অভিযোগ এনেছিল তার পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ দিতে পারেনি। দুদকের করা মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন লোকমান। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত রায় দিয়েছে। লোকমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আমার মোয়াক্কেল লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণাদি আদালতের কাছে তুলে ধরতে পারেননি বিধায় আদালত নির্দোষ সাব্যস্তে বেকসুর খালাস দিয়েছে।’

এই আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিক এফআইআরে বলা হয়েছিল, ক্যাসিনো দিয়ে টাকা উপার্জন করা এবং বিদেশে টাকা পাচার করেছেন লোকমান। দুদকের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা আদালতে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণাদি তুলে ধরতে পারেননি। একমাত্র আসামি লোকমানের বিরুদ্ধে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

ব্যারিস্টার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মোমিনুল হক সাঈদ প্রেস বসাবে বলে ৭০ হাজার টাকা মাসে মোহামেডানের হলরুম ভাড়া নিয়েছিল। ভাড়ার টাকা মোহামেডানের তহবিলে জমা হয়েছে। লোকমান হোসেন কোনো মানি লন্ডারিং করেননি এবং রাষ্ট্রপক্ষও সেটি প্রমাণ করতে পারেনি। হল ভাড়া থেকে আয় বার্ষিক সাধারণ সভার অডিট রিপোর্টও অনুমোদন হয়েছে। প্রত্যেকটি নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা প্রমাণ করতে পারেননি লোকমান হোসেন ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।’

ব্যারিস্টার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আদালত সবকিছু বিবেচনা করে লোকমান হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।’