জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫

বন্যা আক্তার:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপি নেতা শহীদুলের হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা- খুনিদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার ভাই আহত কেন-প্রশাসন জবাব চাই’, ‘যে হাত ছাত্র মারে- সে হাত ভেঙে দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আইন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে ধোলাইখাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্তৃক অমানবিক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। যে সব সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হত্যা, ঘুম, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার পাঁইতারা করছেন, তাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের মতোই হবে। হামলাকারী শহিদুল যে দলেরই হোক, তার পরিচয় যাই হোক তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ইতিহাস বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া বলেন, গতকালের নারকীয় হামলাই প্রথম হামলা নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা বাইরের প্রশাসনের এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। তাদের বারবার সতর্ক করার পরও তারা কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তারা হামলাকারীদের সেল্টার দিতে চায় কিনা সেটা আমাদের বোধগম্যে আসেনা। অবিলম্বে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকায় একটি ঐতিহ্যবাহী পুরোনো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখনও আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আওয়াজ তুলতে হয়। যখন শিক্ষার্থীকে আইডেন্টিফাই করে হামলা করে, তখন এটি আমাদের শঙ্কিত করে। কেন প্রশাসন ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করেনি। কেন বিচার নিশ্চিত করণের জন্য কোনো ধরনের তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বাইরের প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সেটি না করা হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে রাস্তায় নির্মাণাধীন ঢালাইয়ের ওপর পা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল হক সহিদের নেতৃত্বে জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হন। আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অভিযুক্ত শহিদুল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (ওয়ারি থানা) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।