তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং শুরু

শাহজালাল বিমানবন্দর

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

বিমান পরিচালনা পর্ষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল যেদিন থেকে চালু হবে, সেদিন থেকেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ করবে বিমান। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বিমানের।

গতকাল বুধবার বিমানবন্দর এলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএসই বিভাগ আয়োজিত নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট কমিশনিং-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছরের জন্য বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ করার অনুমতি দিয়েছে বিমানকে। আশা করি, আন্তর্জাতিক মানে দক্ষ জনবল দ্বারা দক্ষতার সঙ্গে এ কাজ করবেন বিমান কর্মীরা। মুয়ীদ বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে জাইকা সন্ধিহান থাকলেও, আশা করি তাদের সহযোগিতায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করবে বিমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিয়ে সন্ধিহান জাইকা। এ বিষয়ে জাইকার প্রশ্ন– আন্তর্জাতিক মানে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার ক্ষেত্রে বিমান কতটুকু সক্ষম; সে ধরনের জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে কিনা। তিনি বলেন, থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান যেসব ইকুইপমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানি করছে, তাতে বিমান আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে পারবে।

অনুষ্ঠানে বিমান কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে আমরা তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনার দ্বারপ্রান্তে। সুষ্ঠুভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেওয়ার জন্য বিমান কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি ইকুইপমেন্ট জিএসই বহরে সংযোজিত হয়েছে। বুধবার যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ৩২টি ইকুইপমেন্ট, যার মোট মূল্য ৫৪ কোটি টাকা। অচিরেই আরও ৩৪টি নতুন ইকুইপমেন্ট আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্ত হয়ে ফ্লিট সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানে এমডি ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান, বিমানের পরিচালক গ্রাহকসেবা মো. রাশদেুল করিমসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।