
রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর পাংশা ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে গত একমাসের বেশি সময় ধরে দেখা মিলেছে কুমির। কখনো সকাল, কখনো দুপুরে আবার কখনো সন্ধ্যার আগে একটি নয়,দুটি নয়, একাধিক কুমির ভেসে উঠছে নদীতে। এতে আতঙ্ক বেড়েছে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে। স্থানীয়রা আতঙ্কে থাকলেও কুমির দেখতে প্রতিদিনই নদীপাড়ে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়া গ্রামের গড়াই নদীর মোহনের ঘাট এলাকার নদীপাড়ে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমির দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করে । কুমির নদীতে ভেসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে মোবাইলে ভিডিও করে রাখছে। আবার অনেকে দিনের পর দিন নদীপাড়ে এসেও দেখা পায়নি কুমির।
স্থানীয় শিপন আলী বলেন, কখনো সকাল, কখনো দুপুরে আবার কখনো সন্ধ্যার আগে দেখা মেলে কুমিরের। কখনো একটি ,কখনো দুটি নয়, আবার কখনো তিনটি কুমির ভেসে উঠে নদীতে। আমি নিজে কয়েকদিন দেখেছি দুটি কুমির একসঙ্গে। মোবাইলে ভিডিও করে রেখেছি। অনেকেই বলে তারা নাকি একসঙ্গে তিনটি কুমির দেখেছে।
শিপন আলী আরও বলেন, গত দেড় মাস হলো কুমির দেখা যাচ্ছে নদীতে। এতে আতঙ্কে দিন পার করছে নদীতীরের মানুষ।
শাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে নদীতে গোসল করতে নেমেছিলাম। হঠাৎ দেখি আমার থেকে দশ হাত দূরে বিশাল একটি কুমির ভেসে উঠেছে। দেখার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়দিয়ে ওপরে চলে আসি। প্রতিদিনই কুমির দেখা যায় দুই তিনটা করে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
আবু বক্কর নামে এক স্থানীয় বলেন, আমরা এলাকাবাসী খুব আতঙ্কে আছি। ভয়ে কেউ নদীতে নামে না। আমাদের এলাকায় পুকুরে পানি নেই। এলাকার লোকজন সবাই নদীতে গোসল করে, গরু ছাগলের গোসল করায় এখন সব কাজ বন্ধ। একজন কুমির দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম আবু দারদা বলেন, ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে আমি নিজে স্ব চোখে দেখতে পাইনি। আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। তবে স্থানীয়দের মোবাইলে ভিডিওগুলো দেখতে পেয়েছি। তাতে মনে হয়েছে কুমির হতে পারে। মানুষের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত বনবিভাগের বিশেষজ্ঞ টিম এনে কুমির ধরার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উপজেলা বনবিভাগকে লিখিত দেওয়া হয়েছে।