‘না পাইলাম মাছ, না পাইলাম কোনো সরকারি সহায়তা’

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পার হলেও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার জেলেদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারী খাদ্য সহায়তা চাল। সহায়তা না পাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে অধিকাংশ জেলেদের বিকল্প কোন আয় না থাকায় পরেছেন বিপাকে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ইলিশের ৫টি অভয়াশ্রমে ১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাউফলের চররুস্তুম থেকে ভোলা জেলার চরভেদুরিয়া পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। উপজেলার মোট নিবন্ধিত জেলে ৬হাজার ৫শ ২১জন। এদেরকে এই সময়ে চার কিস্তিতে ৪০ কেজি করে মোট ১শ ৬০ কেজি খাদ্য সহায়তা হিসাবে চাল পাওয়ার কথা রয়েছে। অথচ নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও উপজেলার কোন জেলে খাদ্য সহায়তা পায়নি।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের জেলে চর অডেল গ্রামের জেলে রুহুল আমিন বলেন, ‘নদীতে এমনিতই মাছের আকাল। তারপরে যা পাওয়া যেত তা দিয়ে ধার দেনা করে সংসার মোটামুটি চলে যেত। ভাবছিলাম সরকারি খাদ্য সহায়তা শুরুতেই পাব তা দিয়ে পরিবার নিয়ে রমজান মাসটা ভালো ভাবে কাটিয়ে দিব। কিন্তু কোন আশাই আমাদের পূরণ হল না। না পাইলাম মাছ, না পাইলাম এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা। আশা ছিল রোজার মাসটা কোন রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই ইবাদাত করে কাটিয়ে দিব। যে অবস্থা দেখি তাতে ধারদেনা বেড়েই চলছে।’

কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের চাষি দলিল উদ্দিন মোল্লা বলেন, অধিকাংশ জেলে ধারদেনা ও কিস্তিতে জর্জরিত। নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে কিস্তি বন্ধ থাকলে আমরা উপকৃত হব। প্রশাসন যদি কিস্তি বন্ধ রাখে আমাদের চাপ কমে আসবে।

বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।