আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী কারাগারে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় গুলিতে নিহত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেনকে হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী মো. হেদায়েত কোরাইশ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হেদায়েত কোরাইশ মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মেহেদী হাসান রাব্বী ও ফরহাদ হোসেন উভয় হত্যা মামলার ৯ নম্বর আসামি। পুলিশ তাকে দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
এর আগে, গত জানুয়ারি মাসে এই মামলার ১১ নম্বর আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী এহসানুল হক শনিবার রাতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, হেদায়েত কোরাইশ নামের ওই আসামি মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত মেহেদী হাসান রাব্বী এবং মো. ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলার ৯ নম্বর আসামি। তিনি ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ঢাকার হাতিরঝিল এলাকার একটি গলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড পারনান্দুয়ালী ব্রিজের সামনে গুলিবিদ্ধ হন মেহেদী হাসান রাব্বী এবং মো. ফরহাদ হোসেন।
ছাত্রদল নেতা রাব্বী নিহতের ঘটনায় ১৩ আগস্ট তার ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বীরেন শিকদারসহ ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফরহাদ হোসেনের নিহতের ঘটনায় তার পরিবার কোনো মামলা করেনি। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন সদর উপজেলার বিরপুর গ্রামের মো. জামাল হোসেন। ওই মামলায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।