
জয়পুর প্রতিনিধি:
জয়পুরহাট জেলায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শহরের জিরো পয়েন্ট মসজিদ মার্কেটের সামনে ‘আমরা জয়পুরহাটবাসী’ ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুঞ্জুর এ মওলা পলাশ, পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান বকুল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জায়েদা কামাল প্রমুখ।
জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ‘ঘরে ঘরে গ্যাস চাই, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প-কারখানা চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, গ্যাস চাই জয়পুরহাটবাসী’, ‘দফা এক দাবি এক, পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, সীমান্তবর্তী জয়পুরহাট জেলা ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অবস্থিত রাজশাহী বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক জেলা। জেলাটি উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত। দেশের অন্যতম বৃহৎ চিনিকল ও বৃহত্তম জামালগঞ্জ কয়লাখনি এবং পোল্ট্রি শিল্প এই জেলাতে অবস্থিত। এছাড়া জয়পুরহাট জেলা বাংলাদেশে আলু উৎপাদনে অন্যতম। তাই সারা বছর দেশের আলুর চাহিদা পূরণে রয়েছে অনেকগুলো হিমাগার। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পটি শেষ হলে উত্তরের প্রায় ১১টি জেলা গ্যাস সংযোগ পেতে যাচ্ছে। অথচ বগুড়া থেকে মোকামতলা হয়ে রংপুরে পাইপলাইন যাওয়ার পথে মোকামতলা থেকে জয়পুরহাটের দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর জয়পুরহাট জেলার আধুনিকায়নে বা উন্নয়নে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। জয়পুরহাটবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ। এসব বিষয় বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফরোজা আকতার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্মারকলিপি আমার কাছে দেওয়া হয়েছে। এই স্মারকলিপি আমি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পৌঁছে দেব।