রংপুরে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৫

রংপুর প্রতিনিধি:

নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদ এবং নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তারা ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘তুমি কে, আমি কে আছিয়া, আছিয়া’, ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও’, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গদি ছাড়-’সহ নানা স্লোগান দেন। পরে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশ থেকে দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির নিন্দা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।

ছাত্র-জনতার দাবি, ধর্ষকদের বিচার না হওয়ায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলে আসছে। ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর না করতে পারায় এ দেশে দিনেও চলাফেরায় অনিরাপদবোধ করছেন নারীরা।

 

মশাল মিছিলে অংশ নিয়ে মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, যুগের পর যুগ ধরে ধর্ষকদের বিচার হয় না। গ্রেপ্তার হলেও তাদের পক্ষে আইনজীবী লড়ে, তারা জামিন পায়। তারা জানে এর কোনো বিচার কোনোকালেই হয় না। দেশে চলমান পরিস্থিতির জন্য ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিও করেন তিনি।

শাহারিয়া সিদ্দিকী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষকরা আইনের ফাঁক দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলায় ভুক্তভোগীরা হাঁপিয়ে ওঠে। যার ফলে ন্যায়বিচার আর আলোর মুখ দেখে না। ধর্ষক দায়মুক্তি পেলেও ভুক্তভোগী নারীকে সারাজীবন এর ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়। এজন্য ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনের শতভাগ প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করতে হবে।

এর আগে, একই দাবিতে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কারমাইকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে লালবাগ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে লালবাগ মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়